প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে’র তৃতীয় ধাপে এবার ঘর পাচ্ছেন গৃহহীন নিঃস্ব ৬৫ হাজার ৪৭৪ পরিবার। যাদের কাছে এই ঘর প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার। ঈদুল ফিতরের পর আনুষ্ঠানিক এসব বাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে আসছে বেশ পরিবর্তন। বাড়ানো হয়েছে ব্যয়। যার কারণে ঘরগুলো হবে মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১ম ও ২য় ধাপে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি বাড়ি দেওয়া হয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের। এতে ২ শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রান্নাঘর ও টয়লেট ছিল। আঙ্গিনায় হাস-মুরগী পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা ছিল।
দুটি ধাপে এর মধ্যে বেশ কিছু ত্রুটি পেয়েছে সরকার। কোথাও দেয়াল ফেটে যাওয়া, ধস বা মাটি দেবে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। যেসব কারণে ত্রুটি হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে তৃতীয় ধাপে সমাধান করেই নির্মাণ হচ্ছে বাড়ি। যার কারণে ব্যয়ও বেড়েছে আগের তুলনায় ৬৯ হাজার টাকা। তৃতীয় ধাপে বাড়ি প্রতি বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
অবকাঠামো নির্মাণেও এসেছে পরিবর্তন। আগে ইটের ভিত ও কলাম ছিল। শুধুমাত্র জানালা ও দরজায় লিংটেল ছিল। এবারে আরসিসি ঢালাইয়ের ওপর গ্রেট ভিম ও কলম দেওয়া হয়েছে। পুরো ঘরে লিংটেল দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি অর্থ বছরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮০৩ পরিবার পাবে বাড়ি। এতে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন তৃতীয় ধাপের কাজ চলছে, এতে ৬৫ হাজার ৪৭৪ পরিবার পাবে বাড়ি। চরাঞ্চলের জন্য করা হয়েছে ভূমিকম্প সহনীয় বিশেষ ডিজাইন। তৃতীয় ধাপে চরে ১ হাজার ৪২টি বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক আবু ছালেহ মো. ফেরদৌস খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা হচ্ছে; দেশে কোনো গৃহহীন থাকবে না। সে নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ধাপে ধাপে কাজ করছি।
‘ইতোমধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি বাড়ি প্রধানমন্ত্রী হস্তান্তর করেছেন। আরও ৬৫ হাজার ৪৭৪টি বাড়ি নির্মাণাধীন। আমরা এবার বাজেট বাড়িয়ে দিয়ে এগুলো করছি। যাতে বাড়িগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।’
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে দিতে আশ্রয়ণের বিষয়টিকে আমরা বলছি- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল। চলতি অর্থ বছরে এ কার্যক্রমের আওতায় আসবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮০৩ পরিবার। এতে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ধাপের কাজ চলছে। এতে ৬৫ হাজার ৪৭৪ পরিবার পাবে বাড়ি।
তিনি বলেন, এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ও একমাত্র প্রকল্প; যাতে একসঙ্গে এত পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন করা হয়েছে। ভিটেমাটির পাশাপাশি হচ্ছে কর্মসংস্থান। সমাজের মূলস্রোতের সঙ্গে চলে আসছে, পিছিয়ে পড়া বড় এই জনগোষ্ঠী।
-2018-07-20-20-54-35.jpeg)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: