
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বণ্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পণ্য ডেলিভারি না দেয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ের করা এক মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে। আর ই-অরেঞ্জর অন্যতম হোতা সোহেল রানা বিদেশে পলাতক রয়েছে।
এর আগে গ্রাহকদের ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি কত টাকা বিদেশ পাচার করা হয়েছে তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ এপ্রিল রিট আবেদনটি করেন ই-অরেঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত তারেক আলমসহ ৫৪৭ গ্রাহক।রোববার (৩ এপ্রিল) তারেক আলমসহ ৫ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. আব্দুল কাইয়ুম এ রিটটি করেন।
এতে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের দিন ঠিক করে দেন।
২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা অনলাইন শপ ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই থেকে গ্রাহকরা টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ তোলেন। পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: