
পাকিস্তানের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। এদেরই একজন ইমরান খান। তবে তিনি দেশটির ইতিহাসে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি বিরোধী দলীয় এমপিদের অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন।
গত শনিবার (৯ এপ্রিল) দিনগত রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। এবার পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তিনি। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ‘আমদানি করা’ সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন ইমরান।
রোববার রাতেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ হয়েছে। গোটা পাকিস্তানজুড়ে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ পার্টির আয়োজনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানী ইসলামাবাদের পাশাপাশি করাচি, পেশোয়ার, লাহোর, মালাকান্দ, জং, কোয়েটা, ওকারা ও অ্যাবোটাবাদসহ অন্য বড় শহরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার রাতে ইমরান খান এক টুইটার বার্তায় তার আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে স্বাধীন করতে গিয়ে তিনি মার্কিন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের আসন্ন সরকার হবে ‘বিদেশ থেকে আমদানি করা’ এক সরকার এবং এর প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন থাকবে না।
বিক্ষোভের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে ইমরান খান লিখেছেন, ‘দুর্বৃত্তদের নেতৃত্বে আমদানি করা সরকার প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ইতিহাসে আগে কখনোই এভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতসংখ্যক বিক্ষোভকারী রাজপথে নেমে আসেননি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: