odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 26th October 2025, ২৬th October ২০২৫

ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান!

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ April ২০২২ ১০:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ April ২০২২ ১০:২৮

সাতক্ষীরায় ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেহেদী (৫৭)। বিয়ের বিষয়টি তিনি বিভিন্ন সময় অস্বীকার করলেও এবার বিয়ের সময়ের একটি দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দীর্ঘদিন বিয়ের খবরটি ধোঁয়াশার মধ্যে রাখলেও এবার স্বীকার করেছেন তিনি।

দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তাহমিনা আক্তার মিনা (২২)। তিনি মৌতলা ইউনিয়নের আব্দুল মাজেদের মেয়ে। বর্তমানে তাহমিনা আক্তার মিনা খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী।

কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।

জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারি কোয়ার্টারে অবস্থান করছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। ২য় বিয়ের পর থেকেই প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মিনা ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে তাহমিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

কোয়ার্টারের আশে পাশে বসবাসরত অনেকে জানান, কয়েক মাস ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারের ভেতরে এক যুবতী মেয়েকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। রাতের বেলা মেয়েটির চিৎকার ও সাঈদ মেহেদীর গালিগালাজের শব্দ শোনা যায়।

বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, সরকারি কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা অবস্থান করছেন। তাকে ৪ বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

কোয়ার্টারে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মারপিট ও গালিগালাজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়েও আপনার সঙ্গে বলতে হবে নাকি, বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে তাহমিনা। এখন সে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছে।

কালিগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবার বিয়ে করেছেন এমন খবর আমার জানা নেই।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে লাবনী নামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: