ঢাকা | রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

কক্সবাজর সৈকতে পর্যটকদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৪ মে ২০২২ ২২:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪ মে ২০২২ ২২:৪৯


ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের টানা ছুটিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আনা-গোনায় আবারও মুখরিত হয়ে ওঠেছে সমুদ্র সৈকত। চাঙ্গা হয়ে ওঠছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠাগুলো।

মঙ্গলবার (৩ মে) থেকে শনিবার (১০ মে) পর্যন্ত কক্সবাজারে অন্তত দুই লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে হোটেল কক্ষ বুকিংয়ে বেশ সাড়া মিলেছে। প্রতিটি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রীম বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং বেশি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতে নামতে শুরু করে দর্শনার্থীরা। দুপুরের দিকে সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে ভরে যায়। বিকালের পর আরও বেশি দর্শনার্থী সৈকতে নামে। তবে ঈদের দিন সৈকতে ঘুরে বেড়ানো দর্শনার্থীদের অধিকাংশই স্থানীয়। বুধবার (৪ মে) থেকে দূর-দূরান্তের পর্যটকদের সমাগম ঘটবে কক্সবাজারে।

রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আজকে ঈদের দিনে কিছুটা ব্যবসা হয়েছে। আগামীকাল থেকে ব্যবসা আরও বেশি জমে উঠবে। আগামী ১০ মে পর্যন্ত কক্সবাজারে প্রায় ২ লাখ পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতসহ হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শতভাগ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে রাতদিন টহলে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের দল। ঈদের পরে সাতদিন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: