
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। এর কোন লক্ষণ না থাকলেও অনেক মরণঘাতী রোগের কারণ ঘটায়। কারণ নির্ণয় করা গেলে এটি পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপার এল্ডোস্টেরনিজম বিষয়ক সচেতনতা মূলক ‘স্ক্রিনিং ফর প্রাইমারি অ্যালডোসটেরোনিসম:দ্যা লিডিং কস অব সেকেন্ডারি এইচটিএন’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
এন্ডোক্রাইন হাইপারটেনশন স্টাডি গ্রুপ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন,বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ এর কোন কারণ পাওয়া না গেলেও শতকরা ৫-১০ জনের ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করা যায় এবং এই রোগ পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। অন্যদিকে,সেকেন্ডারি হাইপারটেনশনের এক তৃতীয়াংশ রোগী হাইপার এল্ডোস্টেরনিজম এ আক্রান্ত। যার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের দেশে এখনো শুরু হয়নি।
সেমিনারে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগ অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে এ সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগ ও এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগ পৃথক উচ্চ রক্তচাপ ক্লিনিকের মাধ্যমে এ রোগীদের বিশেষ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে ৩০-৭৯ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর শতকরা ১.৪ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, যার দুই তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জনগণ। উচ্চ রক্তচাপ এর রোগীদের ৪৫ শতাংশই নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সময়ে হাইপার টেনশন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশনে লক্ষন থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ এর কোন কারণ পাওয়া না। হাইপারটেনশনে আক্রান্ত রোগীরা নিজেরাও বুঝতে পারেন না। বুঝলেও সচেতনতার অভাবে তারা দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হন।
সেমিনারে এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন জাহান ও হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ ফখরুল ইসলাম খালেদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহম্মদ আবুল হাসানাত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: