
এই চারজনকে পুলিশ বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে হাজির করে। তাঁদের সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত তুফান সরকার ও মুন্নার দুই দিন করে এবং তুফানের স্ত্রী ও শাশুড়ির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া জীবন রবি দাস নামের এক আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
আজ প্রথম দফায় তুফানের তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়। এ ছাড়া তুফানের স্ত্রী আশা সরকার ও শাশুড়ি রুমি বেগমের দুই দিনের রিমান্ডও শেষ হয়।
গত ১৭ জুলাই বিকেলে কলেজে ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ও তাঁর সহযোগীরা দলীয় ক্যাডার ও এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। চার ঘণ্টা ধরে তাঁরা ছাত্রী ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৮ জুলাই রাতে শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার, তাঁর স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: