ঢাকা | Monday, 20th October 2025, ২০th October ২০২৫

ঢাকার জয় শুরু আল-আমিন ও নাসিরের নৈপুন্যে

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৮ January ২০২৩ ০৮:২৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৮ January ২০২৩ ০৮:২৯

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি ২০২৩ : পেসার আল-আমিন হোসেনের বোলিং ও অধিনায়ক নাসির হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুন্যে জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নবম আসর শুরু করলো ঢাকা ডমিনেটর্স। আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্স ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩ রান করে খুলনা। আল-আমিন ৪ ওভারে ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন। জবাবে ৫ বল বাকী রেখে ৪ উইকেটে ১১৭ রান করে ম্যাচ জিতে ঢাকা। বল হাতে ২ উইকেট ও ব্যাট হাতে অনবদ্য ৩৬ রান তুলে ঢাকার জয়ে অবদান রাখেন নাসির। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক নাসির। ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে খুলনা। পাওয়ার-প্লেতে ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। চতুর্থ ওভারে খুলনাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসির হোসেন । ওপেনার পাকিস্তানের শারজিল খানকে ৭ রানে বোল্ড করেন নাসির। পরের ওভারে ৪ রান করা মুনিম শাহরিয়ারকে বিদায় করেন পেসার আল-আমিন হোসেন। পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে ওপেনার তামিম ইকবালকে শিকার করেন স্পিনার আরাফাত সানি। ১৫ বল খেলে ১টি চারে ৮ রান করেন তামিম। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন পাকিস্তানের আজম খান ও অধিনায়ক ইয়াসির আলি। মারমুখী মেজাজে ছিলেন আজম। দশম ওভারে আজম শিকার হন সানির। ১২ বল খেলে ৩টি চারে ১৮ রান করেন আজম। ইয়াসিরের সাথে ২২ বলে ২১ রানের জুটি গড়েন তিনি। দলীয় ৪৯ রানে আজমের আউটের পর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে নিয়ে সাবধানে খেলতে থাকেন ইয়াসির। উইকেটে সেট হয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন তারা। নাসিরের করা ১৫তম ওভারে ১টি করে চার ও ছক্কা মারেন সাইফুদ্দিন ও ইয়াসির। ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারার পরের ডেলিভারিতে আউট হন ইয়াসির। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ২৪ রান করেন ইয়াসির। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৩১ রান যোগ করেন তারা। ইয়াসিরের আউটের পর সাইফুদ্দিনের ২৮ বলে ১৯, সাব্বির রহমানের ১১ ও শেষ দিকে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের ৩ বলে ১০ রানের সুবাদে তিন অংক স্পর্শ করে খুলনার দলীয় সংগ্রহ। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩ রান করে খুলনা। ঢাকার আল-আমিন ২৮ রানে ৪টি উইকেট নেন। নাসির-সানি ২টি করে শিকার করেন। জয়ের জন্য ১১৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে চতুর্থ ওভারে হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন ঢাকার ওপেনার পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ। তখন দলের রান ১৬ ও শেহজাদ ব্যক্তিগত রান ৪। এরপর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। শ্রীলংকার দিলশান মুনাবিরার সাথে ২২ বলে ৩১ রান যোগ করেন সৌম্য। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ভালোই এগোচ্ছিলেন সৌম্য। তবে অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১৬ রানে ফিরেন সৌম্য। সৌম্যর আউটের পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুনাবিরা ও মোহাম্মদ মিথুন। ৩টি চারে ২৮ বলে ২২ রান করেন মুনাবিরা। ১৪ বলে ৮ রান করেন মিথুন। ১২ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর ঢাকার হাল ধরেন অধিনায়ক নাসির ও আফগানিস্তানের উসমান ঘানি। দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন তারা। ১৭তম ওভারের নেদারল্যান্ডসের পল ফন মকেরেনের বলে শারজিলকে ক্যাচ দিয়েও জীবন পান নাসির। পরের ওভারে সাইফুদ্দিনের বলে মিকেরেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১৫ বলে ১৪ রান করা উসমান। পঞ্চম উইকেটে ৩৩ বলে ৩৪ রান তুলে ঢাকার জয়ের পথ সহজ করেন নাসির ও উসমান। উসমান যখন আউট হন তখন ১৫ বলে ১৪ রান দরকার ছিলো ঢাকার। পঞ্চম উইকেটে আরিফুল হককে নিয়ে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন নাসির। ৪টি চারে ৩৬ বলে অপরাজিত ৩৬ রান করেন নাসির। ৩ রানে অপরাজিত থাকেন আিরফুল। খুলনার সাইফুদ্দিন ২২ রানে ২ উইকেট নেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: