ঢাকা | রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুর রাইডাসর্কে হারিয়ে প্রথম জয় খুলনার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:২৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:২৫

চট্টগ্রাম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩  : পাকিস্তানী পেসার ওয়াহাব রিয়াজের বোলিংয়ের পর ওপেনার তামিম ইকবালের অপরাজিত হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল খুলনা টাইগার্স। আজ বিপিএলের ১৫তম ম্যাচে খুলনা ৯ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডাসর্কে। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয় পেয়েছে খুলনা। অন্য দিকে চার ম্যাচে ২টি করে জয় ও হার রয়েছে রংপুরের। খুলনার ওয়াহাবের ৪ ও আমাদ বাটের ৩ উইকেটে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। জবাবে তামিমের অনবদ্য ৬০ রানে ১০ বল বাকী রেখেই জয় পায় খুলনা। স্থানীয় জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠান খুলনা টাইগার্সের ইয়াসির আলি। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় রংপুর। খুলনা স্পিনার নাহিদুল ইসলামের বলে স্টাম্পড আউট হয়ে খালি হাতে ফিরেন ওপেনার রনি তালুকদার। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও রংপুর শিবিরে আঘাত হানেন নাহিদুল। ১টি চার ও ছয়ে ইনিংস শুরু করা মোহাম্মদ নাইমকে শিকার করেন নাহিদুল। ৯ বলে ১৩ রান করেন তিন নম্বরে নামা নাইম। ২ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার-প্লেতে ৩৫ রান পায় রংপুর। দেখেশুনে খেলতে থাকা আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে অষ্টম ওভারে বিদায় দেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ বলে ২৫ রান করেন ইমন। নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ইনজুরিতে রংপুরের অধিনায়কত্ব দায়িত্ব পাওয়া পাকিস্তানের শোয়েব মালিক ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ১৪ বলে ৯ রান তুলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। মালিকের পর দ্রুত ফিরেন শামিম হোসেন পাটোয়ারিও। ৯ বলে ৪ রানে থামেন তিনি। পাকিস্তানী পেসার আমাদ বাটের শিকার হন মালিক ও শামিম। ১৪তম ওভারে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। এক প্রান্ত ধরে খেলছিলেন চার নম্বরে নামা মাহেদি হাসান। এমন অবস্থায় ব্যাটেই বাল কিছু আশা করছিল রংপুর। কিন্তু ১৭তম ওভারে বাটের তৃতীয় শিকার হন মাহেদি। ২টি করে চার-ছয়ে ৩৪ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। দলীয় ৯৮ রানে মাহেদির আউটের পর ওয়াহাবের বোলিং তোপে বড় স্কোর পায়নি রংপুর। শেষদিকে ৭ বলে ১২ রান করেন রকিবুল হাসান। ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে অলআউট হয় রংপুর। খুলনার ওয়াহাব ১৪ রানে ৪টি ও বাট ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন। নাহিদুল ২৩ রানে নেন ২ উইকেট। ১৩০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে খুলনাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুনিম শাহরিয়ার। ৫ ওভারে ৪০ রান তোলেন তারা। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে তামিম-মুনিমকে বিচ্ছিন্ন করেন আফগানিস্তানের পেসার আজমতুল্লাহ ওমারজাই। ৩টি চারে ২১ বলে ২১ রান করে আউট হন মুনিম। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮৯ রানের জুটি গড়ে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন তামিম ও তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল হাসান জয়। জুটিতে ৭৭ বল খেলেন তারা। ৩৫ বল খেলে ১৪তম ওভারে এবারের আসরের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। পরের ওভারে দলের রান ১শতে নিয়ে যান তামিম ও মাহমুদুল। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে খুলনাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাহমুদুল। ৪৭ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৬০ রান করেন তামিম। ৪২ বলে অনবদ্য ৩৮ রান করেন মাহমুদুল। তার ইনিংসে ২টি চার ও ১টি ছয় ছিলো। ম্যাচ সেরা হন খুলনা টাইগার্সের ওয়াহাব রিয়াজ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: