ঢাকা | শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

ভিসা দুর্নীতির অভিযোগে সৌদি দূতাবাসে দুই কর্মকর্তাসহ ৯ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৩ ০৯:০২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৩ ০৯:০২

সৌদি আরবের তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ নাজাহা অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের তদন্ত করে সৌদি দূতাবাসের সাবেক দুই কর্মকর্তা ও সাত বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে।সৌদি আরবের তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ নাজাহা গত শনিবার তাদের টুইটে এ তথ্য জানিয়েছে।

ঘুষের বিনিময়ে অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশের কর্মীদের কাজের ভিসা দেওয়ার জন্য পাঁচ দশমিক চার কোটি সৌদি রিয়ালের (প্রায় ১৫৪ কোটি টাকার) সমপরিমাণ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে সৌদি আরবের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ নাজাহা ঢাকায় দেশটির দূতাবাসের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ ওই ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার অপরাধে সাত বাংলাদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নাজাহাকে উদ্ধৃত করে সৌদি দৈনিক আরব নিউজ ও আল-মারসদের খবরে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদাহি আল-শামারি ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের সাবেক উপরাষ্ট্রদূত ও কনস্যুলার বিভাগের প্রধান এবং খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান ছিলেন। সৌদি দূতাবাসের সাবেক এই দুই কর্মকর্তা সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে অবৈধ ঘুষ বাণিজ্যের কিছু অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা দুজনই ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল ঘুষ নিয়ে তার একাংশ সৌদি আরবে আর বাকি অর্থ দেশের বাইরে বিনিয়োগের কথাও স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা করা হয়েছে। অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের বিস্তারিত তদন্তের পর বাংলাদেশি নাগরিক আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক আল ইসলাম শাহ জাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ ভিসা বাণিজ্য ও সৌদি আরবের বাইরে অর্থপাচারের দায়ে ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নূর, জায়েদ উওসিদ মাফি, আবুল কালাম মোহাম্মদ রফিক আল ইসলাম, আজিজ আলহাক মুসলিম উদ্দিন ও আলামিন খান শহীদ আল্লাহ খানকেও গ্রেপ্তার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

নাজাহা বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সৌদি আরবে তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার রিয়াল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সোনা ও বিলাসবহুল যানবাহন উদ্ধার করা হয়েছে, যা অবৈধ কাজের ভিসা বিক্রির টাকায় কেনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: