
নিজস্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি নিয়ে মার্কিন তদন্তের জেরে চীনের ওপর কোনো অবরোধ আরোপ করাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। চীন বলেছে, এ রকম ক্ষেত্রে তারা ‘অলস বসে থাকবে না’।
গতকাল মঙ্গলবার চীনের দেওয়া এ হুমকির প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এর আগে গত শনিবার মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা বাণিজ্যের ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
মার্কিন কর্মকর্তার এই বক্তব্যের পর গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লিথিজারকে চীনের বাণিজ্য নীতি মার্কিন বিনিয়োগকারী ও কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে কি না, তা নিরূপণের নির্দেশনা দিয়ে এক স্মারকে সই করেছেন ট্রাম্প। এ পদক্ষেপের সম্ভাব্য ফলাফল হিসেবে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিই বেরিয়ে আসতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তে গতকাল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভীষণ উদ্বেগ প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরনের বাণিজ্য সংরক্ষণবাদ দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে নিশ্চিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ট্রাম্প এ পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত এমন এক সময় নিলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মিত্র দেশ উত্তর কোরিয়ার মধ্যে টানটান উত্তেজনা চলছে। পিয়ংইয়ংকে নিবৃত্ত করতে বেইজিংকে কার্যকর কিছু করার আহ্বানও জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যে তিনি বলেছেন, চীন উত্তর কোরিয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করলে তিনি বেইজিংয়ের প্রতি আরও নমনীয় হবেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘কোনো দেশ বাজারে প্রবেশের শর্ত হিসেবে বেআইনিভাবে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে তাদের মূল্যবান প্রযুক্তি হস্তান্তরে বলপ্রয়োগ করলে আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াব।’
ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের অন্যায্য বাণিজ্যনীতি ওয়াশিংটন দেখেও আর না দেখার ভান করে থাকবে না।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: