ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

দিনাজপুরে প্রধানমন্ত্রী ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৭ ১৭:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৭ ১৭:০৭

রোববার দিনাজপুরের জিলা স্কুলমাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো মানুষ না খেয়ে মরবে না । তিনি বলেছেন, সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবেন। 

বেলা ১১টার কিছু আগে দিনাজপুর জিলা স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় কেউ না খেয়ে মারা যাবে না। বন্যায় যাদের ক্ষতি হয়েছে, তাদের পুনর্বাসিত করা হবে। এমনকি নতুন ফসল না ওঠা পর্যন্ত তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট-কালভার্ট মেরামত করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। খাদ্যখাটতি যাতে না হয়, এ জন্য এরই মধ্যে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমি বাবা-মা সব হারিয়েছি। আমার আর হারাবার ভয় নাই। আমি যত দিন বেঁচে থাকব, আপনাদের সেবা করে যাব। প্রয়োজনে আমি জীবন দিয়ে যাব।’

রংপুর একসময় মঙ্গাপীড়িত এলাকা ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই দুর্নাম ঘুচিয়েছে। রংপুরকে এখন আর কেউ মঙ্গাপীড়িত এলাকা বলে না।

এ সময় বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওগুলোর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বন্যাকবলিত দরিদ্র মানুষদের যেন ঋণের কিস্তির টাকার জন্য চাপ দেওয়া না হয়।

অনুষ্ঠানে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসালাম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সদর-৩ আসনের সাংসদ ও হুইপ ইকবালুর রহিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিবলী সাদিক, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার হামিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের তেঘরা হাই স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: