ঢাকা | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লংঘন করা হচ্ছে অন্যতম মৌলিক অধিকার

রোজা মানেই আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পান্যে দাম বাড়ানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতা

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৪:৫৮

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৪:৫৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচ্যের অস্কফোর্ড ক্ষ্যত এ বিদ্যাপিঠ যেখান থেকে গড়ে উঠে মানবিক মূল্যবোধ মানবতা সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশের প্রতিটি অধিকার আদায়ের প্রধান সূতিকাগার কিন্তু এবারের রমজানে মানুষের প্রধান পাঁচটি মৌলিক অধিকার এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার খাদ্য সেটা খর্বকরা হয়ে খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ছাত্রদের সাথেই! হাসান আলী ঢাকা বিশ্বাবিদ্যায় ঘুরে যে বর্ননা দিয়েছে তাতে চোখে জলে এসে যায়, 

সাহরির শেষ সময় ৪টা ৪০ মিনিট হলেও একটু ভালো খাবারের জন্যে আমাদের রাত ২টায় গিয়ে লাইন দিতে হয়। ঠেলাঠেলি করে ভেতরে গেলেও খাবার প্লেটে নেয়ার পর চোখে পানি চলে আসে। শুধুমাত্র রোজা থাকতে হবে, খাওয়া বাধ্যতামূলক বলেই চোখ বন্ধ করে দু মুঠো খেয়ে চলে আসি। রোজা রাখা আমাদের জন্যে যে কতটা কষ্টকর তা শুধু আল্লাহ জানেন।’ -কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত ইসলাম। ঢাবিতে এ রকম হাজারো শিক্ষার্থী আছেন যারা শুধু ডাল-ভাজি দিয়ে সেহরি খেয়ে রোজা রাখছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, আবাসিক হলগুলোতে খাবারের দাম এক রাতের ব্যবধানে আইটেম প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাস্টার দা সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে ৬৫ টাকার গরুর গোশত বেড়ে একলাফে ৯০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়াও চিংড়ি মাছ ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, দেশী পুঁটি মাছ ৫০, ব্রয়লার মুরগির গোশত ৫৫, কৈ মাছ ৪৫, রুই মাছ ৪০, টেংরা মাছ ৪৫, পাবদা মাছ ৪৫ এবং কাতল মাছ ৪৫ টাকা থেকে এক রাতেই ৭০ টাকা হয়ে গেছে। একইভাবে হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে গরুর গোশত ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০, গরুর কলিজা ৫০ থেকে বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়াও ব্রয়লার মুরগি ৫০, রুই, পাবদা ও পোয়া মাছ ৪৫ টাকা থেকে একলাফে ৬০ টাকা হয়েছে।
একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, জসিমউদদীন হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সহ প্রায় সব হলের ক্যান্টিনেই প্রতিটি খাবারের আইটেমে গড়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে চরম দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে রোজা রাখছেন হলে থাকা হাজার হাজার শিক্ষার্থী। শুধু দামই নয়, এত টাকা দিয়ে কেনা খাবারের মান নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই। বাজে পরিবেশ এবং রান্না করা অখাদ্য খেয়ে রোজা থাকা চরম দুঃসহ।

লিখেছেন হাসান আলী 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: