
তুরস্কের সাথে চলমান বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য এফটিএ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ বিষয়ে তুরস্কের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলাপ আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা কিছুদিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তুরস্ক ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সদস্য নয়, সে কারণে সেখানে বাংলাদেশ ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা পায় না বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার ঢাকায় হোটেল লি মেরিডিয়ানে তার্কিস এক্সপোর্টার্স অ্যাসেম্বলি (টিআইএম) এবং এফবিসিসিআই আয়োজিত “তার্কি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম এন্ড বি-টু-বি মিটিং প্রোগ্রাম” এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গেল অর্থ বছরে বাংলাদেশ তুরস্কে রপ্তানি করেছে ৬৩১ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ২১২ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে ৪১৯ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, ঔষধ, হিমায়িত মাছ, শুকনা খাবার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক পণ্য, তৈরী জাহাজ, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে তুরস্কে। উচ্চ শুল্কহারের কারনে বাংলাদেশ আশানুরুপ পণ্য তুরস্কে রপ্তানি করতে পারছে না।। তুরস্কের সাথে এফটিএ হলে বাংলাদেশ তুরস্কের কাছে এ বাণিজ্য সুবিধা পাবে। তখন তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সুসম্পর্ক ঐতিহাসিক। সেখানে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। বাংলাদেশে তুরস্ক বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে হবে। এতে করে তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। বাংলাদেশে তুরস্ক ডাইরেক্ট ইনভেষ্ট করলে উভয়দেশ লাভবান হবে। এ জন্য এফবিসিসিআইকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এসময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে তার্কিস এক্সপোর্টার্স অ্যাসেম্বলি (টিআইএম) এবং এফবিসিসিআই-এর মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষে এফবিসিসিআই এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম এবং টিআইএম এর পক্ষে তার্কিস এক্সপোর্টার্স অ্যাসেম্বলির মেম্বার অফ সেক্টর কাউন্সিল বাসরা বাইরাক এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রৃদূত ডেভরিম অজতুর্ক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে সফররত তার্কিস এক্সপোর্টার্স অ্যাসেম্বলির মেম্বার অফ সেক্টর কাউন্সিল বাসরা বাইরাক, এফবিসিসিআইএর প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং এফবিসিসিআই-এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: