ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী

শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৭ ২০:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৭ ২০:২৫

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, সেই দেশি ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারিরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের কেউ রাষ্ট্র পরিচালনা করুক, তা তারা চায়নি। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে থাকার কারনে আল্লাহর অসীম রহমতে বেচে গেচেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার প্রচেষ্ট চালানো হয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, রক্তদিয়ে বাংলাদেশ গড়া। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিপিরিত, নির্যাতিত ও সেহনতি মানুষে নেতা। বাঙ্গালি জাতির মুক্তি তথা দেশের স্বাধীনতা এবং দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার জন্য সারাজিবন সংগ্রাম করে গেছেন। অন্যায়ের সাথে কোন দিন আপোষ করেননি। ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি নিরস্ত্র বাঙ্গালীকে স্বশস্ত্র করে তুলেছিলেন। 

বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানি অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলে। 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি বলেছিলেন পাকিস্তান বাঙ্গালীদের জন্য সৃষ্টি হয়নি। বাঙ্গালীদের ভাগ্য নির্ধারক বাঙ্গালীদেরই হতে হবে। তিনি বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য প্রায় ১২ বছর জেল খেটেছেন। তিনি যা বিশ্বাস  করতেন, তাই করতেন। ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তাঁর জন্ম দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরাগান্ধিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন তার আগেই বাংলাদেশ থেকে ভারতের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। শ্রীমতি ইন্দিরাগান্ধি বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি বাংলাদেশ আসার আগেই ১২ ই মার্চ ভারতের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেন। সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কর্নেল(অব.) শওকত আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যেও মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা শওকত আলী, মেজর(অব.) রেজাউল করীম রেজা, ঢাকা মহানগর সভাপতি আমজাদ হোসেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: