
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামানন্দ গ্রামে আমেনা আক্তার (১৬) নামে এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ছাত্রীর বাবা ছাদেক আলী সরকার উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে তাদের বসতঘরে আগুন ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত কাল ১৫ই নভেম্বর বুধবার রাত ৮টার দিকে এঘটনা ঘটে। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামানন্দ গ্রামের বাবুল সরকারের ছেলে রাসেল সরকার (৩০) দীর্ঘদিন যাবৎ আমেনা আক্তার সহ তার বাবা মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসিতেছিল।
উল্লেখ্য গত ১২ই নভেম্বর শনিবার টংগিবাড়ী সোনারং মাদ্রসা থেকে আমেনা আক্তার বাড়ীতে আসলে বখাটে রাসেল সরকার জানতে পারে। একই দিন বখাটে রাসেল সরকার তার সহযোগী ৪/৫ জনকে নিয়ে গভীর রাত অনুমান ২ টার সময় তাদের বসত ঘরের জানালা ভেঙ্গে আমেনা আক্তারকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হামলা করে। পরে আমেনা আক্তারের ডাকচিৎকারে তার বাবা মা আগাইয়া আসিলে তাদেরকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
পরে আমেনা আক্তারের বাবা ছাদেক আলী সরকারকে গুরুতর অবস্থায় সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হয়।
এব্যাপারে আমেনার মা নয়নতারা বেগম বাদীহয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের কথা জেনে ১৫ই নভেম্বর বুধবার রাত ৮টায় বখাটে রাসেল সরকার ২০/৩০ লোক জনকে নিয়ে মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রীর বসত ঘর ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ছাত্রীর বড় ভাই ছানাউল্লাহ সরকার জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের গ্রামের বাবুল সরকারের ছেলে রাসেল সরকার আমার ছোট বোনকে বিয়ের জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রস্তাব দিতো। আমরা তার সাথে আমার ছোট বোনকে বিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করলে তারা আমাদের বাড়ীঘর ভাংচুর করে আগু লাগিয়ে দেয় এবং আমার ছোট বোনকে কয়েকবার তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা তাতে বাধা দিলে আমাদের মারপিট করে।
আমেনা আক্তারের বাবা ছাদেক আলী সরকার জানান, আমার ছোট মেয়েকে রাসেল সরকার কয়েকবার উঠিয়ে নিয়ে যাওয়াও জন্য আমাদের বাড়ীতে হামলা করে। আমি ও আমার বাড়ীর লোকজন বাধা দিয়েছি বলে আমাদের মারপিট করেছে। এব্যাপারে আমরা আইনের অশ্রয় নিলে দ্বিতীয় বারের মতো আমাদের বসত ঘর ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ঘরে থাকা টাকা পয়সা ও দুটি গরুও নিয়ে যায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: