ঢাকা | বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম পরিবারের জন্য আশির্বাদ সরুপ ।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৭:২৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৭:২৬


অটিজম নিয়ে জাতিসংঘের সর্বশেষ গবেষণা জরিপে বলা হয়, প্রতি ৬৮ জনের একজন অটিজম সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত অর্থাত্ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১% অটিজম জীবন নিয়ে বড় হচ্ছে। এর সিংহভাগই শিশু। অটিজম আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সুজান রীটের ভাষ্য মতে, বিশ্বে ৭ কোটি মানুষ অটিজমে ভুগছে। এর সাথে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে আরো অনেকে। আশার বানী এখন অটিজম অভিশাপ না , সামাজের বোঝা ও নয় তারা ।


অটিজম বিষয় কিছু বলতে ,লিখতে বা কিছু করার জন্য আটিজম দিবসের প্রধান মন্ত্রীর সেই বক্তব্য আমাকে প্রভাবিত করে “শেখ হাসিনা” বলেছিলেন, এদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। সেটাই বিকশিত করে দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে, যেন মেধা বিকাশের মাধ্যমে তারাও সমাজকে কিছু উপহার দিতে পারে।অটিজমে আক্রান্ত হিসেবে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, চার্লস ডারউইন, আইজ্যাক নিউটনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অটিস্টিক শিশুরা যেন অবহেলায় হারিয়ে না যায়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তারাও মানুষ। তারাও আমাদের সমাজের অংশ, তাদের জন্যও আমাদের কাজ করতে হবে। একটা দেশকে উন্নত করতে হলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে, কাউকে অবহেলা করে না।”


যে “মা” মানুষ নিয়ে এতটা ভাবেন, তার কন্যাতো তেমনই হবেন। আমরা আমাদের রাস্ট্র প্রধান এর কাছে এমনটাই আশা করি। উন্নয়নশীল দেশে অটিস্টিকদের জন্য কাজ করা খুব সহজ নয়। এর জন্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে অনেক। এসব দেশে অটিজম মোকাবিলায় গোঁড়ামি, কুসংস্কার ও সীমিত সেবা, সেবাদানকারীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের অভাব এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কন্যা , “সায়মা ওয়াজেদ পুতুল” বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার হিসেবে তিনি জাতির জনকের চিন্তা ও আদর্শ ধারণ করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সকল অটিজম শিশুর জীবন যাত্রায় প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠে বিকশিত জীবনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার যে প্রত্যয় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলর ।তা প্রশংসার দাবিদার।
প্রধানমন্ত্রী কন্যা “সায়মা ওয়াজেদ পুতুল”সত্যি বলতে কী, অটিজম নিয়ে তার কর্মকাণ্ড আমাদেরকে উৎসাহিত করেছে, পেরনা যুগিয়ছে ।আমাদের ধারনা ছিল অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বোঝা। পরিবারের কাছেও তারা ছিল অবহেলিত। অটিস্টিক শিশুদের সুষ্ঠু স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ছিল না যথাযথ পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা এবং ব্যবস্থাপনা। সাধারণত অটিস্টিক শিশু বা ব্যক্তির কথা-বার্তা বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দেখা যায়। দেরিতে কথা বলা, মুখো- অবোয়ব বিকৃত ভাব ,বাক্ প্রভৃতিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। খেলাধুলায় অনীহা কিংবা নিজেকে গুটিয়ে রাখার চেষ্টা করে ,আচরণগত দিক দিয়ে এদের মধ্যে অঙ্গের , যেমন- হাত, আঙুল, মাথা প্রভৃতির অস্বাভাবিকত্ব দেখা যায়। এসব দিকে মনোযোগ দিলেই অনুধাবন সম্ভব অটিজমের একেকজন শিশু কতটা অসহায়। অভিভাবকগণ তাদের নিয়ে কতটা বিভিষিকাময় দিন পার করছেন, তা আমাদের অনুধাবন করা দরকার। আমাদের অনেকেরই জানা নেই, দক্ষিণ এশীয় অটিজম নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজম বিষয়ক



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: