ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

রাজনীতির নামে অসংবিধানিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনগনকে সোচ্চার হওয়ার আহবান বঙ্গবন্ধু পরিষদের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৬

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৬

আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে। বিরোধী দল হরতাল দিচ্ছে, অবরোধ দিচ্ছে। সেগুলো তারে দিতে পারে, সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। তবে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান আমাদেরকে দিয়ে গেছেন, সেখানে ২২টি মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের দেওয়া হয়েছে। আপনাদের যেমন অবরোধ দেওয়ার অধিকার আছে, ঠিক তেমনি আমাদেরও নিশ্চিন্তে চলাফেরার অধিকার আছে। হরতাল অবরোধে অগ্নিসন্ত্রাস একটি অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক, সন্ত্রাসী কার্যক্রম। তাই অসংবিধানিক যে কার্যক্রমগুলো ঘটছে, এগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগনকে সোচ্চার হতে আহবান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের সম্প্রতি প্রয়াত সভাপতি ডা. এস এ মালেকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রয়াত ডা. এস এ মালেক সম্পর্কে আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, ডা. এস এ মালেক সব সময়ই নিজের সবটুকু দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা করেছেন কিন্তু তিনি কখনো পদ পদবীর আকাঙ্ক্ষা করেননি। আজকে আমরা সেই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই মিলনায়তনে একত্রিত হয়েছি। এই শ্রদ্ধা জানানো তখনই সফল হবে যখন আমরা তার সাংগঠনিক ও মানবিক গুণাবলীগুলোকে আমরা ধারণ করতে পারবো।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ ব ম ফারুক, ডা. এস এ মালেকের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূইয়া ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকুল আরেফিন।

সভায় বক্তারা বলেন, প্রয়াত ডা. এস এ মালেক ছিলেন একজন জ্ঞানের ভাণ্ডার বা নলেজ হাব। তার মেধা ও দক্ষতা দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি দেশের সেবা করেছেন। তিনি আপদমস্তক একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ডা. এস এ মালেকের অসাধারণ অবদান রয়েছে। তিনি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে এবং '৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ডা, এস এ মালেকের প্রয়াস ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে লেখা থাকবে।

স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, সাংগাঠনিক সম্পাদক ডা, আইয়ুবুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নেসার আহমেদ ভূইয়া প্রমূখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: