
বিয়ের ৪২ বছর পর স্ত্রীর মর্যাদা সহ ভরণ-পোষণ পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মালতি রাণী নামের ৫৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। শনিবার বগুড়ার শাজাহানপুর প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন ১৯৭৫ সালে শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম কামারপাড়া গ্রামের স্বর্গীয় অবির চন্দ্র রায়ের পুত্র অভয় চন্দ্র রায় তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর ভরণ-পোষণ চালাতেন অভয় চন্দ্র রায়। এরপর প্রায় ১ যুগ অতিবাহিত হওয়ার পর সংসার শুরু হয় বগুড়া শহরের চেলোপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে।
মালতী রাণী উল্লেখ করেন, দাম্পত্য জীবনে ১৯৯২ সালে তাদের ১ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। নাম রাখা হয় খুকু মনি রায়। সংসারের বোঝা হালকা করতে সেলাইয়ের কাজ করে মালতী রানী কিছু উপার্জন করতেন। তার সাথে স্বামীর দেয়া টাকা-পয়সায় ভাড়া বাসায় থেকে মেয়েকে লেখাপড়া করাতেন।
কন্যা খুকু মনি রায় বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স পাশ করে একই কলেজে মাস্টার্স পরীক্ষার্থী।
বিগত ৫-৭ বছর যাবত ভরণ পোষণ দিতে তাল বাহানা শুরু করেন অভয় চন্দ্র রায়। এমনকি ১ বছর যাবত ভরণ পোষণ দেয়া বন্ধ করেছেন। এমতাবস্থায় পরের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে কন্যা সন্তানকে নিয়ে তিনি অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বিবাহযোগ্য কন্যাকে বিবাহ দেয়ারও কোন সংগতি নেই সাংবাদিকগণের জিজ্ঞাসাবাদে মালতী রাণী জানান, সংসার জীবনের বেশিরভাগ সময়ে ভরণ পোষণের সমস্যা হয়নি। বর্তমানে ভরণ পোষণ বন্ধ করা এবং বিবাহযোগ্য কন্যাকে বিবাহ দেয়ার ব্যবস্থা না করায় তিনি চরম হতাশা ও দুর্দশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এমতাবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন বৃদ্ধা মালতী রাণী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: