
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি নতুন শ্রম বাজার খুঁজে বের করার পাশাপাশি বিদেশে কম খরচে শ্রমিক পাঠানো ও দ্রুত সেবা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রবাসী কর্মীরা বর্তমান সরকারের সকল অর্জনের অংশীদার। তারা বিদেশে কর্মসংস্থান তৈরি ও রেমিটেন্স প্রেরণসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, শ্রম কল্যাণ উইংয়ে দূর-দুরান্ত থেকে যে সকল কর্মীর কাছে সেবা নিতে আসে তারা যেন হাসি মুখে সেবা নিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেবা পেতে তাদের সময়, ভিজিট ও যাতায়াত খরচ কমানোর দিকে সজাগ থাকবেন। কোন কর্মীই যেন সেবা না নিয়ে ফিরে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শ্রম কল্যাণ সম্মেলন-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, এক কোটির অধিক অভিবাসী বাংলাদেশি কর্মী এবং তাদের পরিবারভুক্ত আরও প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের কল্যাণের স্বার্থে আপনারা (শ্রম কল্যাণ উইং এর কর্মকর্তা) সরাসরি যুক্ত। ওয়েজ আর্নার্স কলাণ বোর্ডসহ অন্যান্য সকল কল্যাণমূলক সেবা ও সুযোগ-সুবিধার সহযোগিতা প্রদানে আপনাদেরকে সর্বদা কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে আপনাদের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বপ্ন প্রবাসী বাংলাদেশী এবং তাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে পৌঁছাতে হবে। শেখ হাসিনা বিশ্ব অভিবাসন ও শরণার্থীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এজন্য তিনি মাদার অব হিউম্যান্যটি’র বিশ্ব স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন,প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ও দিক নির্দেশনায় সৌদি আরব, ওমান, কাতার, বাহরাইন, মালয়েশিয়ায় ব্যাপক কর্মী পাঠাতে সক্ষম হয়েছি।
মন্ত্রী জাতির পিতার রূপায়ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের মিশনের সকল সহকর্মীর এবং সকল প্রবাসীকে নিয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদারের সভাপতিত্ব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আমিনুল ইসলাম, ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা এবং বোয়েসেল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী বক্তৃতা করেন।
নমিতা হালদার বলেন, শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তাদের বার্ষিক সম্মেলন নিয়মিত কার্যক্রম। তবে এবারের সম্মেলনটি ব্যতিক্রমী। আপনারা জানেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রধান উদ্দেশ্য, প্রথমটি বৈদেশিক কর্মসংস্থান তৈরি করা এবং দ্বিতীয়টি প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যেই এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য অভিবাসী কল্যাণ’।
সচিব বলেন, শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয় নির্বাচন এবং সে লক্ষ্যে রিসোর্স পার্সন নির্বাচন এমনভাবে করা হয়েছে যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। অভিবাসন সেক্টরে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর প্রয়াস নেয়া হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব বলেন, বিশে^র শ্রমবাজারে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। কিছু কিছু শ্রম বাজার যেমন সংকুচিত হচ্ছে আবার নতুন নতুন শ্রমবাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে।
এ সকল পরিস্থিতিতে শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তাদের কৌশল নির্ধারণে ধারণা প্রদান এ সম্মেলনের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। সফল শ্রম কূটনীতি দ্বারা অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।-খবর বাসসের
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: