
আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাটে এখন কৃষকরা আলু তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবারও আলুর বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করেছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৪০ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছে ৩৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। আলু তোলার পরে লাগানো হবে বোরোর চারা ।
সে কারণে জেলার সর্বত্র চলছে এখন আলু তোলার কাজ। ইতোমধ্যে ৩০ ভাগ আলু তোলা সম্পন্ন হয়েছে।
জেলায় এবার আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৪ মেট্রিক টন। আলু লাগানোর পর মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া মোটামুটি ভাল থাকায় এবার কারেজ, গ্যানুলা জাতের আলুর হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে সাড়ে ২১ থেকে সাড়ে ২২ মেট্রিক টন।
স্থানীয় জাতের লাল পাকরি, রুমানা জাতের আলুর হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে ১৩/১৪ মেট্রিক টন।
সদরের বানিয়াপাড়া এলাকার কৃষক আজাদ হোসেন জানান, এবার ১ একর ১৬ শতাংশ জমিতে গ্যানুলা আলু চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মণ।
এক বিঘা জমিতে এবার আলু উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রায় ১০/১২ হাজার টাকার মতো বলে জানান কৃষকরা। কোমর গ্রামের আলু চাষী মিঠু হোসেন জানান, বাজারে বর্তমানে আলুতে ভরে গেছে।
আমন ধানের দাম এবার ভাল ছিল। এবার আলুর দাম ভাল পেয়ে তারা খুশি বলে জানালেন জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (শষ্য) মহব্বত হোসেন বাসস’কে জানান, এবার জয়পুরহাটে ৩৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
আলু ক্ষেতে ছত্রাকনাশকের ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষেত ভাল থাকলেও কৃষকরা লেটব্লাইট রোগের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন আলু ভাল রাখার জন্য।
কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরাও এ ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।-খবর বাসসের
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: