
নিজস্ব প্রতিবেদক-
ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও এডিটিং করা রেকর্ড ছড়িয়ে একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ গত কয়দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং এডিট ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে৷ এই পোস্টকৃত ভিডিওর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান ঝিলু ও মো. শওকত হোসেন৷
ভুক্তভুগী মিজানুর রহমান ঝিলু জানান, কিছু নামধারী সাংবাদিক, আমি ও আমার সহকর্মী শওকত হোসেনকে হেয় করার জন্য কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো ভিডিও ও নানা তথ্য প্রচার করছে কানাডা প্রবাসী মতিউর রহমান রিয়াদ৷ তিনি কোনো কালেই মূলধারার সাংবাদিক নয়। সে অনলাইন ভিত্তিক নামধারী কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ড মিডিয়ায় কাজ করে। রিয়াদ কানাডায় থেকে বিভিন্ন মানুষ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে রিপোর্ট করে করে। কোনো কোনো সময় সে একটি গোষ্ঠীর পক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিউজ করতে বলে। সাংবাদিকরা কথা না শুনলে রিয়াদ সেসব সাংবাদিকদের নিয়ে ফেসবুকে নানা কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়িয়ে হেয়প্রতিপন্ন করে। এক সময় রিয়াদ লৌহজং প্রেস ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু রিয়াদের গতিবিধি ও কর্মকাণ্ড অসাংবাদিক সুলভ হওয়ায় তাকে সদস্য করা হয়নি। এরপর থেকে রিয়াদ লৌহজং প্রেস ক্লাব ও ক্লাবের সদস্যদের চরিত্র হনন করার চেষ্টা করে আসছে। রিয়াদ মোটর সাইকেল নিয়ে লৌহজং উপজেলার নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়িয়ে চাঁদাবাজি করতো। লৌহজংয়ে এ রকম চাঁদাবাজ সাংবাদিক কখনই ছিল না। দীর্ঘদেহী রিয়াদ ডিবি পুলিশের ন্যায় কটি পোশাক পরে নিজেকে অনেক বড়ো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আতংক ছড়াতো। আর জাহিদ হাসান নামক লৌহজং প্রেস ক্লাবের এক সদস্য রিয়াদকে ক্লাবের সব তথ্য ফাঁস করতো। ক্লাবের সদস্যরা একদিন জাহিদের মোবাইল ফোন চেক করে তথ্য পাচারের সত্যতা পায়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে জাহিদকে বহিষ্কার করা হয়। এ দুটি ঘটনার পর থেকে এরা দুজন লৌহজং প্রেস ক্লাবের প্রতিপক্ষের সাথে আঁতাত করে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে।
তিনি আরও জানান, ভূমি অফিসের উমেদার ইমন হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম। ইমন বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাদক মামলার গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করে ৩ বছরে কোটি টাকার মালিক বুনে যায়। ৫ আগষ্টের আগে তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমির সাথে থেকে রাস্তাঘাট জনসাধারণকে মারধর করেন। সে সাথে ভুক্তভোগী স্থানীয়রা ভূমি অফিস ঘেরাও করে মানববন্ধন করেন। এসব সংবাদ প্রকাশ করলে ইমন আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। সে ক্ষিপ্ততা থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে এডিটিং করে বিভ্রান্তকর তথ্য বানোয়াট মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রতিবাদে শওকত বলেন- ফেসবুকে পোস্টকরা ভিডিওর কথোপকথন এডিট ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো হয়েছে৷ এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক৷ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে ও আমার সহকর্মী মিজানুর রহমান ঝিলুকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি আমার ক্ষতি করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: