
মুন্সীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার শেষ সম্বল জমি কেটে নিয়ে নি:স্ব করে দিল শিল্পপতি
সিরাজদিখান( মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার গোয়ালখালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার শেষ সম্বল জমিটুকু কেটে নিয়ে নি:স্ব করে দিল এক শিল্পপতি । এতে নি:স্ব হলো মুক্তিযোদ্ধা এ পরিবারটি ।
সরেজমিনে প্রতিবেদনে জানা যায়, উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের আর.এস জে.এল ১ নং গোয়ালখালী মৌজার আর এস ৩৪ নং ক্ষতিয়ানের আর এস ২৬০ নং দাগের ৮১ শতাংশ জমির রেকর্ডিয় মালিক কামার কান্দা গ্রামের নিবারন বাড়ৈ এর পুত্র নেপাল বাড়ৈ, ললিত বাড়ৈ, রমেশ বাড়ৈও সুরেশ বাড়ৈ । পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে জমিটি ভোগ দখল করেন ললিত বাড়ৈর পুত্র দিন মজুরে মুক্তিযোদ্ধা হরি আনন্দ বাড়ৈ । মুক্তিযোদ্ধার শেষ সম্ভল জমিটুকুতে নজর যায় পাশেই গড়ে উঠা গার্মেন্টস শিল্পের মালিক আশা শাহাদাতের ।
আশা শাহাদাত ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিণীর মাধ্যমে প্রস্তাব দেয় জমিটি বিক্রয় করে দেয়ায় জন্য । বিক্রয় না করায়ই কাল হয়ে দাঁড়ায় উপজেলার কামার কান্দা গ্রামের সহায় সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধা হরি আনন্দ বাড়ৈর । নিজস্ব সস্ত্রাসী বাহিণী দিয়ে কেটে নেয় মুক্তিযোদ্ধার ফসলী জমিটুকু ।
মুক্তিযোদ্ধার ৪ কন্যার সংসার এক রকম অর্ধাহারে অনাহারে কাটলেও রেহাই পায়নি গার্মেন্টস মালিক আশা শাহাদাতের হাত থেকে । সে এতটাই বেপরোয়া যে , মুহুর্তেই যেকোন অন্যায় কাজ করতে কোন দ্বিধাবোধ করেন না । আশে পাশের জমি মালিকদের জমি বিক্রির জন্য হরহামেশাই হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে । যারা বিক্রয় করেছে তারাও ঠিকমত টাকা পায়নি বলে অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন ।
মুক্তিযোদ্ধা হরি আনন্দ বাড়ৈ বলেন, আমরা কি এজন্য দেশকে স্বাধীন করেছিলাম । আমার শেষ সম্ভল জমিটিুকুও কেড়ে নিল । আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি কোথাও কোন বিচার পাচ্ছি না । আমাদের মেয়েদের ঠিকমত খাওয়াতে পারছিনা । আমি জাতির জনকের কন্যার নিকট সুষ্ঠ বিচার চাই ।
বহু চেষ্টা করেও আশা শাহাদাতের প্রতিষ্ঠানে ঢোকা যায়নি তার সন্ত্রাসী বাহিণীর কারণে । ফোনে হ্যালো বলে সাংবাদিকের পরিচয় দিলে ফোন কেটে দেয় ।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ: মতিন হাওলাদার বলেন,আমি জমিটি পরিদর্শন করে ব্যাখিত হয়েছি । এ আমলেও মুক্তিযোদ্ধারা নির্যাতিত হবে তা মেনে নেয়া যায়না । মুক্তিযোদ্ধার জমি যদি ভরাট করে না দেয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব । সব মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমরা মানব বন্ধন করব তারপরও কাজ না হলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট যাব ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানবীর মোহাম্মদ আজিম বলেন, আমি এখনও কোন অভিযোগ পাইনি । মুক্তিযোদ্ধা হরি আনন্দ বাড়ৈ আমার নিকট অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব বা মামলা করলেও আমি ব্যবস্থা নিব ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: