ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

ইসরাইলের ছাড়া সব জাহাজের জন্য জলপথ নিরাপদ: হুথি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৫ ২৩:১৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৫ ২৩:১৯

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থনপুষ্ট হুথি বিদ্রোহীরা বুধবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরাইলি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।

হুথি’র রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য আব্দুলমালিক আল-আজরি এএফপিকে বলেছেন, ইসরাইলি জাহাজ ছাড়া সকল আন্তর্জাতিক জাহাজের জন্য জলপথ নিরাপদ। ইসরাইল চুক্তির অংশ নয়, এতে কেবল আমেরিকান ও অন্যান্য জাহাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মঙ্গলবার ওমান বলেছে, তারা ওয়াশিংটন ও ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি চুক্তিতে সহায়তা করেছে, যেটি কোনও পক্ষই আরেক পক্ষকে লক্ষ্যবস্তু করবে না এবং লোহিত সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটি ঘোষণা করে বলেছেন, জাহাজে হামলা বন্ধ করতে সাত সপ্তাহের তীব্র হামলার পর হুথিরা ‘আত্মসমর্পণ’ করেছে।

হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা শুধুই যুদ্ধ করতে চায় না- আমরা এটিকে সম্মান করব, বোমা হামলা বন্ধ করব। তারা আত্মসমর্পণ করেছে। তারা বলেছে, আর জাহাজ উড়িয়ে দেবে না, আমরা যা করছিলাম, এটাই ছিল উদ্দেশ্য।’

রোববার ইসরাইলের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে হুথিরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপর ইসরাইলি অভিযান শুরু হয়। এতে সাতজন নিহত এবং সানা বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই জাহাজে হামলা বন্ধের এই চুক্তি প্রকাশ পায়।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইয়েমেনের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে হুথিরা। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরাইলি জাহাজের ওপর হামলা শুরু করে হুথিরা।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সামরিক হামলা তীব্র হওয়ার পর তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান আরও বিস্তৃত করে। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ হামলা চালানো হয়েছে দাবি করেছে হুথিরা।

তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে যায়। এ পথে সাধারণত বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপথে বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পরিবহন করা হয়।

ক্যাটাগরির



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: