ঢাকা | সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীরে ‘প্রথম শান্ত রাত’: ভারতীয় সেনাবাহিনী

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৫ ১৩:০১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৫ ১৩:০১

টানা গোলাগুলি, মিসাইল ও ড্রোন হামলার ভয়াবহতা শেষে কাশ্মীর সীমান্তে ফিরেছে রাতের নীরবতা। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার রাতে কাশ্মীরসহ আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে কোথাও কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এটিই ছিল সাম্প্রতিক সময়ের প্রথম ‘পুরোপুরি শান্তির’ রাত।

শনিবার হঠাৎ করেই ট্রাম্পের ডাকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত ও পাকিস্তান। এর আগে পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত ৬০ জন প্রাণ হারান। কয়েক হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এমন ভয়াবহতা ১৯৯৯ সালের পর আর দেখা যায়নি। পরমাণু শক্তিধর এই প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব।

যদিও যুদ্ধবিরতির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ভঙ্গের অভিযোগে একে অপরকে দোষারোপ করে ভারত ও পাকিস্তান। এতে শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়।

তবে সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ একটি রাত কেটেছে। এটিকে ‘নিরব ও সংঘর্ষমুক্ত রাত’ বলেও উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “গত কয়েক দিনের মধ্যে একমাত্র গত রাতেই কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।”

এদিকে, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সীমান্ত শহর পুঞ্চে টানা দ্বিতীয়রাতের মতো গোলাগুলি বা শেল হামলার ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রতিক সংঘাতে এলাকাটির অন্তত ১২ জন বাসিন্দা নিহত হন। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ৬০ হাজারের বেশি ।

রোববার থেকে কিছু বাসিন্দা শহরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে তাদের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্ক। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই যুদ্ধবিরতি হয়তো টিকবে না।

গত বুধবার ভোরে কাশ্মীরের পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত অংশে “সন্ত্রাসী ঘাঁটি” ধ্বংস করতে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে পরিস্থিতি মোড় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে।

১৯৯৯ সালের পর এটিই ছিল পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা। যা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে শঙ্কায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ তৈরি হয়।

গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

পাকিস্তানের উপর এ হামলার দায় চাপায় ভারত। যদিও তা অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামাবাদ।

২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিল করে।

এরপর থেকেই অঞ্চলটিতে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যায়।

মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে উভয় দেশই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। ১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার যুদ্ধও হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: