ঢাকা | শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ত্রিপোলিতে সহিংসতা: তুরস্কের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫ ২৩:৩৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫ ২৩:৩৭

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক বৃহস্পতিবার দেশটিতে থাকা নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


ইস্তাম্বুল থেকে এএফপি জানায়, ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ত্রিপোলিভিত্তিক তুর্কি দূতাবাস জানিয়েছে, 'যেসব তুর্কি নাগরিক ত্রিপোলি ছাড়তে চান, তাদের জন্য তুর্কি এয়ারলাইন্স মিসরাতা থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত একটি বিশেষ ফ্লাইটের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।' উল্লেখ্য, মিসরাতা ত্রিপোলি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী।

দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ত্রিপোলি থেকে মিসরাতা পর্যন্ত বাস পরিবহন ব্যবস্থারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে নারী, শিশু ও প্রবীণদের, পাশাপাশি দেশটিতে অস্থায়ীভাবে অবস্থানরত তুরস্কের নাগরিকদের।

সোমবার রাতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ত্রিপোলি বিমানবন্দরে কার্যত সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরকারবিরোধী শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের পর থেকেই এই লড়াই শুরু হয়।

ত্রিপোলিভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী আবদেলহামিদ দেইবাহ'র নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ-স্বীকৃত সরকারকে সমর্থনকারী দেশ তুরস্ক বুধবার এই সহিংসতার বিষয়ে ‘তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানায়। তারা বলেছে, 'রাজধানী ও তার আশপাশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তুরস্ক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।'

২০১১ সালে ন্যাটোর সহায়তায় মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত ও হত্যার পর থেকে লিবিয়া একাধিক সংঘাতে জর্জরিত। দেশটি এখন দুটি শিবিরে বিভক্ত—পশ্চিমাঞ্চলে দেইবাহর নেতৃত্বাধীন সরকার এবং পূর্বাঞ্চলে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসন।

২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত হাফতার ত্রিপোলি দখলে নিতে রুশ ও মিসরীয় সমর্থনে অভিযান চালান। তবে সেই অগ্রযাত্রা আটকে দেয় ত্রিপোলিভিত্তিক সরকার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিবিয়ায় তুলনামূলক শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করলেও, বিশেষ করে ত্রিপোলি ও পশ্চিমাঞ্চলে গোষ্ঠীগত সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘ মিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, 'ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় সহিংসতার নতুন মাত্রা গভীর উদ্বেগজনক।'



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: