
বুধবার ফ্রান্সের একটি আদালত ৭৪ বছর বয়সী এক শিশু যৌন নিপীড়ক এবং প্রাক্তন সার্জনকে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শত শত রোগী, শিশু, ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের জন্য সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ধর্ষণের শিকার বেশিরভাগই শিশু।
দেশের সর্ববৃহৎ শিশু যৌন নির্যাতনের মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে প্রায় ৩শ’ জন ভুক্তভোগীর যৌন নির্যাতন স্বীকার করার পর জোয়েল লে স্কুয়ারনেককে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে রায় নিয়ে ভূক্তভোগীদের আইনজীবীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, এত দিন ধরে এতজনকে কীভাবে নির্যাতন করতে পেরেছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
একজন সার্জন রোগীদের ওপর বছরের পর বছর ধরে অমানসিকভাবে যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন, তার জন্য এই সাজা যথেষ্ঠ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভূক্তভোগীদের স্বজনরাও।
বিচারকরা সাজার দৈর্ঘ্য সম্পর্কে পাবলিক প্রসিকিউটরের সুপারিশ অনুসরণ করেছেন এবং পশ্চিম ফ্রান্সের মরবিহানের ফৌজদারি আদালত আদেশ দিয়েছেন লে স্কুয়ারনেককে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য হওয়ার আগে কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সাজা ভোগ করতে হবে, কারণ তিনি এখনো বিপজ্জনক।
কিন্তু আদালত সাজা-পরবর্তী প্রতিরোধমূলক আটকাদেশ জারি না করায় অনেক ভুক্তভোগীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অনাচার এবং অন্যান্য যৌন অপরাধের শিকার শিশুদের জন্য একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপের সভাপতি সোলেন পোডেভিন ফ্যাভ্রে ‘আমরা হয়তো কম নমনীয় হওয়ার আশা করেছিলাম’ এই রায়ে হতবাক হয়েছিলেন। দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সাজা-পরবর্তী প্রতিরোধমূলক আটকাদেশ আরোপ করা হয়নি।
তিনি বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই সর্বোচ্চ সাজা’। ‘কিন্তু এটিই আমরা আশা করতে পারিনি এমন সর্বনিম্ন সাজা। তবুও ছয় বছরে, তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হতে পারে। এটি বিস্ময়কর।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: