হাওয়াই চটি পরতে শেখান
বাচ্চাদের হাওয়াই চটি পরানোর অভ্যাস করান। স্কুল ক্যাম্পে গেলে, পাবলিক সুইমিং পুল ব্যবহার করলে হাওয়াই চটি পরতে বলুন তাঁদের। ঘরে থাকলেও স্লিপার পায়ে দিয়ে রাখা জরুরি। অল্পবয়স থেকে হাওয়াই চটি পরার অভ্যাস থাকলে অ্যাথলিটস ফুটে আক্রান্ত হওয়া থেকে নিরাপদে থাকবে তাঁরা। স্কুল ট্রিপ, খেলাধুলোর জন্য বাইরে কোথাও যেতেই হোক না-কেন, হাওয়াই চটি সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
পায়ের আঙুল শুকিয়ে নিতে বলুন
পায়ের আঙুলের মাঝে জল জমেও ফাঙ্গাল সংক্রমণ হতে পারে। বাচ্চারা অনেক সময় স্নান সেরে বেরোনোর পর গা মুছলেও পায়ের আঙুলের ফাঁকগুলি ভালো ভাবে মোছে না। এই ফাঁকে জল থেকে অ্যাথলিট ফুট দেখা দিতে পারে। তাই ছোট বয়স থেকেই তাদের পায়ের আঙুলের ফাঁকের জল ভালো করে মোছা শেখান।
খেলার জায়গা পরিষ্কার রাখুন
বাচ্চারা যেখানে খেলাধুলো করে, সেই স্থান যাতে পরিষ্কার থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আবার বাচ্চাদের স্যান্ডপিট নিয়মিত পরিষ্কার করবেন। বাড়িতে পোষ্য থাকলে, তারা সেই স্যান্ডপিটে প্রাকৃতিক কর্ম করতে পারে। পোষা জীবজন্তুর মলমূত্র থেকে রিংওয়ার্ম বা দাদ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছেই। এক্ষেত্রে পোর্টেবল স্যান্ডপিট ব্যবহার করতে পারেন এবং এটি ঢাকা দিয়ে রাখাই শ্রেয়। আবার বাচ্চাদের খেলনায় যাতে কোনও কারণে স্যাঁতস্যাঁতে না-থাকে, সে দিকেও লক্ষ্য রাখবেন, তা না-হলে এতেও ফাঙ্গাস হতে পারে।
পোষ্যদের জীবাণুনাশ করুন
বাড়িতে অনেকেই পোষা কুকুর বা বেড়াল রাখতে পছন্দ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা জররি। নিজের পোষা কুকুর বা বেড়ালের শরীর নিয়মিত পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত রাখুন। কারণ কোনও কৃমি বা জীবাণুর ডিম পোষ্যর মলের মাধ্যমে আপনার বাচ্চার শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক পোষ্যদের বছরে ২ বার করে জীবাণুমুক্ত করুন।
ব্যক্তিগত জিনিস ভাগ করতে বারণ করুন
সন্তানকে অন্যের সঙ্গে নিজের জিনিস ভাগ করতে শেখানো জরুরি, কিন্তু তার পাশাপাশি এ-ও শেখাবেন যে, কিছু কিছু এমন জিনিসও আছে যা পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও ভাগ করা উচিত নয়। চিরুনি এবং টুপির মতো ব্যক্তিগত জিনিস অন্যের সঙ্গে ভাগ করলে তার মাধ্যমে দাদের মতো ফাঙ্গাল ইনফেকশান ছড়িয়ে পড়তে পারে। অন্য দিকে নিজের তোয়ালে, জুতো অন্যকে ব্যবহার করতে দিলে তা থেকে অ্যাথলিটস ফুট সংক্রমণ হতে পারে।
লক্ষণ যাচাই করুন
পুরনো ক্ষত, চুলকানি বা র্যাশের প্রতি নজর রাখুন। এগুলিতেও যদি ফাঙ্গাল সংক্রমণ ঘটে থাকে, তা হলে বিলম্ব না-করে তার চিকিৎসা করুন। তা না-হলে ভাই-বোন বা বন্ধুদের মধ্যেও সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার সন্তানের ফাঙ্গাল ইনফেকশান হলে, তাদের তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের খোল, খেলনা পরিষ্কার করুন। অপর কোনও বাচ্চাদের সেই সমস্ত জিনিস ব্যবহার করতে দেবেন না।
সাঁতারের পর যা করবেন
সাঁতার কাটার ফলে ত্বকে জ্বালা হলে, তা এড়ানোর উপায় করুন। এর জন্য পরিষ্কার তোয়ালে ও শুকনো পোশাক প্রস্তুত রাখুন। আপনার সন্তান ভেজা পোশাকেই দৌড়ঝাপ করতে ভালোবাসবে, কিন্তু তাদের শীঘ্র গা মুছে শুকনো পোশাক পরতে শেখান। ভেজা পোশাকে ব্যাক্টিরিয়া আটকে যায়। যা সংক্রমণ, ফাঙ্গাসের জন্য আদর্শ স্থান। এর ফলে শরীর চুলকাতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: