odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 28th October 2025, ২৮th October ২০২৫
রাজপরিবারের ভেতরে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের সর্বাধিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

বাবাকে নজরবন্দী, ভাইদের আটক — সৌদি রাজপরিবারে ক্ষমতার শীর্ষে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৪ September ২০২৫ ২৩:৪৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৪ September ২০২৫ ২৩:৪৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | অধিকার পত্র ডটকম

সৌদি আরবের বর্তমান যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) কীভাবে একে একে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছালেন, তা নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছে বিশ্ব গণমাধ্যম। পারিবারিক রাজনীতির টানাপোড়েন, নজরবন্দী করা এমনকি আত্মীয়দের আটক—এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে এমবিএসের উত্থান সৌদি রাজনীতিকে নতুন মোড় দেয়।

২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যু হলে সালমান বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় আসেন। শুরুতে যুবরাজ হন মুকরিন বিন আবদুল আজিজ, তবে মাত্র তিন মাস পরই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে যুবরাজ হন মোহাম্মদ বিন নায়েফ। একই সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে দায়িত্ব পান বাদশাহ সালমানের ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, অল্প সময়েই প্রভাব বিস্তার করে এমবিএস প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি যুবরাজ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজেকে স্থাপন করেন ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে। এরপর থেকে সৌদি আরবে অর্থনৈতিক সংস্কার, সামাজিক পরিবর্তন এবং কূটনৈতিক পদক্ষেপে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করছেন।

বিশ্ব গণমাধ্যমের তথ্যে জানা যায়, ক্ষমতার পথে এমবিএস নানা কঠোর পদক্ষেপ নেন—বাবাকে কার্যত সীমিত করে রাখা, ভাই ও কাজিনদের আটক, এবং রাজপরিবারের ভেতরে সংস্কারের নামে অদৃশ্য চাপ সৃষ্টি করা।

বর্তমানে তিনি শুধু যুবরাজই নন, বরং সৌদি সরকারের নীতি নির্ধারণ ও ভবিষ্যৎ ভিশন “ভিশন ২০৩০”-এর মূল নেতৃত্বে রয়েছেন। তবে ক্ষমতায় ওঠার এই ধাপগুলো বিশ্বজুড়ে বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কীভাবে বাবাকে নজরবন্দী করে এবং ভাইদের আটক করে ক্ষমতার শীর্ষে ওঠেন—জানুন সৌদি রাজপরিবারের ভেতরের সেই ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: