
মুন্সীগঞ্জে সন্ত্রাসী কর্তৃক সরকারী হালট দখল করে ভবণ নির্মাণ, প্রশাসনের কোন ভূমিকা নেই
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার গোয়ালখালী গ্রামের ১৪০ বছরের একটি সরকারী হালট এলাকার চিহ্নিত জোরপূর্বক দখল করে ভবণ নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী হালটটি দখল হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো সমস্যা সম্মূখীন হয়ে পড়েছে এলাকার জনগণ ।
উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের আর.এস জে.এল ১ নং গোয়ালখালী মৌজার ৩৫০ নং দাগের ২ শতাংশের রেকর্ডিয় মালিক মৃত কৃষ্ট মোহন মন্ডলের ওয়ারিশদের নিকট থেকে সেই ২ শতাংশ ভ’মি সাফ কবলা মূলে ক্রয় করেন গোয়ালখালীর ডাকপাড়া গ্রামের মৃত পলান খানের পুত্র সফিউদ্দিন ।
জমিটির উত্তর পাশে গোয়ালখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম পাশে সরকারী হালট । খরিদকৃত ২ শতাংশ জমির পাশে বিদ্যালয়ের আংশিক জমি দখল করে ভবণ নির্মাণ করে এবং ২২ ফুট প্রশস্ত সরকারী হালটির উপর লোপট দৃষ্টি পরে চিত্রকোট ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও কথিত আওয়ামীলীগ নেতা সফিউদ্দিনের । হালটটি দখল করে ভবণ নির্মাণের ফলে গ্রামের প্রায় ২হাজার লোকজন একপেশে হয়ে পড়েছে । এদিকের লোক ঐদিকে যেতে পারছে না, তেমনি ঐদিকের লোক এদিকে আসতে পারছে না ।
সফিউদ্দিন একজন প্রভাবশালী বিধায় এলাকার লোক শত নির্যাতনের শিকার হলেও তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না । হালটটি দখলের ফলে গোয়ালখালী গ্রামের কৃষকের গরু-ছাগল থেকে শুরু করে সাংসারিক অনেক কাজে বাধা হয়ে আসছে । তারপরও অনেকে মৃত্যু ভয়ে মুখ খোলে না ।
কিছুদিন পূর্বে কতিপয় লোক মুখ খুললে সফির সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করছে। এলাকাবাসী প্রকাশ্যে প্রশাসনের সহায়তাও চাইতে সাহস পায় না ।
উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে অনেকবার আলোচনা করেও কোন ফল পাওয়া যায় নি ।
অভিযোগের ব্যাপারে একাধিকবার সফিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি। বাসায় থেকেও তিনি কোন সাড়া দেননি ।
ভোক্তভোগী ধলু মিয়া বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকেই এ হালটটি ব্যবহার করে আসছি । এখন আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে । এটা দখল করে ভবণ নির্মাণ করায় গ্রামের হাজার হাজার লোকের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে । আমরা সরকারের নিকট এর সু ব্যবস্থা চাই ।
৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন বলেন,আমরা জন্মের পর থেকে দেখছি এটা সরকারী হালট । এটা দিয়ে গ্রামের লোকজনের গরু বাছুর চলাফেরা করে কিন্ত এটা দখল হওয়ার কারণে এখন গ্রামের মানুষের খুব অসুবিধা হচ্ছে । সরকারের নিকট আকুল আবেদন যেন বিল্ডিংটি ভেঙ্গে আমাদের গরু বাছুর চলাচলের রাস্তাটি ব্যবহারের সুযোগ করে দেন ।
সহকারী কমিশনার(ভ’মি) মো: নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জেনে তদন্তের জন্য কানুনগোকে নির্দেশ দিয়েছি ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানবীর মোহাম্মদ আজিম বলেন, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি । আমি আজকেই ব্যবস্থা নিবি।
সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন, কে বা কাহারা এ ভবণটি করেছে । এটা জঘন্য অন্যায় কাজ । জনগনের চলাচলের অনকে সমস্যা হচ্ছে । সরকারী জমির উপর অবৈধভাবে নির্মিত ভবণটি ভেঙ্গে দেয়ার জন্য সংশ্লিস্ট প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: