ঢাকা | Monday, 20th October 2025, ২০th October ২০২৫

উত্তরে পানিবন্দী লাখো মানুষ, তিস্তাপাড়ে বোবা কান্না

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৬ October ২০২৫ ১৭:১৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৬ October ২০২৫ ১৭:১৯

৬ অক্টোবর ২০২৫,

দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলায় কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় তিস্তাপাড়ে চলছে বোবা কান্না।

সরকারি ত্রাণ সহায়তা পর্যাপ্ত হলেও তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। ফলে অনাহারে দিন কাটছে বানভাসি মানুষের। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ত্রাণের কোনো অভাব নেই এবং প্রত্যেক বানভাসি মানুষই ত্রাণের আওতায় আসবে।

তিস্তা নদীর পানি রোববার রাতে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার সকালে তা বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে পানি আবারও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব।

তিস্তা অববাহিকার ৮ উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। বন্যার কারণে বাঁধগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে এবং বেশ কিছু রাস্তা ও সড়ক ডুবে গেছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা বিপাকে পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টিউবওয়েল ও টয়লেট ডুবে যাওয়ায় নারীরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। গবাদি পশু নিয়ে বিপদে পড়েছেন খামারিরা। কিছু পরিবার উঁচু স্থানে তাবু বা মাচা বানিয়ে জীবনযাপন করছেন।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও সুনিল কুমার জানিয়েছেন, বৃষ্টির পানি থাকায় বন্যার পানি নেমে যেতে একটু সময় লাগছে, তবে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে তিস্তাপাড়ের মানুষজন ত্রাণ ও নদী খননের দাবি জানিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: