অধিকার পত্র ডটকম :
ফরিদপুর: সড়ক দুর্ঘটনায় এজিপি অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক আহমেদ বশিরের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র রহস্য ও জল্পনা। জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি ও জনপ্রিয় এই আইন কর্মকর্তার মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও সহকর্মীরা। তাদের দাবি, মোসাদ্দেকের জনপ্রিয়তা অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেননি।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ফরিদপুর শহরের কাছে বদরপুর (মন্ত্রীর বাড়ির কাছে) এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক আহমেদ বশির ফরিদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি হিসেবে কানাইপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে
গিয়েছিলেন। মোটরসাইকেলে ফেরার পথে একটি ট্রাক তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার ফলে ছিটকে পড়ে তিনি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মৃত্যু নিয়ে রহস্য কেন?
সরকারি আইন কর্মকর্তা মোসাদ্দেক বশির মারা গেলেও, তাঁর সঙ্গে থাকা অপর আইনজীবী মজিবর পায়ে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। এই বিষয়টিই মৃত্যু ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে।
নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, "মোসাদ্দেক অল্প দিনেই একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় আইনজীবী হয়ে উঠেছিলেন। তার এই জনপ্রিয়তা অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেননি, যা তিনি প্রায়ই স্বজনদের বলতেন।" স্বজনদের ধারণা, এই জনপ্রিয়তাই হয়তো তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ
প্রত্যক্ষদর্শী এক অটোরিকশা চালক জানান, তার সামনেই মোটরসাইকেলটি চলছিল। "তার পেছনে থাকা একটি ট্রাক হঠাৎই অটোকে ওভারটেক করে মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে সজোরে আঘাত করে দ্রুত চলে যায়।" আঘাতের ফলে মোটরসাইকেলের পেছনে বসা মোসাদ্দেক বশির ট্রাকে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ওই চালক দুজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের ৫০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মোসাদ্দেক বশিরের মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আইনজীবী সমিতির সদস্যরা, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় জমান। সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় কেউই এটিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মেনে নিচ্ছেন না।
উপস্থিত সকলেই এই
'রহস্যজনক' মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: