বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে শুক্রবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনকালীন দায়িত্বে সর্বোচ্চ দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়—এটি নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদার ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজন।”
মুক্তিযুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও সেনাবাহিনীর ভূমিকার স্মরণ
প্রধান উপদেষ্টা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত, আহত ও অংশগ্রহণকারীদের স্মরণ করে বলেন—
“সশস্ত্র বাহিনী তখন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছে।”
তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চের কালরাতে, আর ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ অভিযান মুক্তিযুদ্ধে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।
‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে’
ড. ইউনূস বলেন—
“বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় জাতি, তবে যেকোনো বহিঃশত্রুর আগ্রাসন থেকে দেশ রক্ষায় আমাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”
তিনি জানান, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং যুগোপযোগী প্রযুক্তি সংযোজন অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সাফল্য
গত ৩৭ বছরে ৪৩টি দেশে ৬৩টি শান্তিরক্ষা মিশন সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ১০টি মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন—
“চ্যালেঞ্জপূর্ণ আন্তর্জাতিক পরিবেশে দায়িত্ব পালনের জন্য শান্তিরক্ষীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে।”

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: