ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় কমনওয়েলথ বাণিজ্যমন্ত্রীরা

Admin 1 | প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৭ ০৭:২০

Admin 1
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৭ ০৭:২০

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়।
এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) এভ্রিথিংস বাট আর্মসের (ইবিএ) আওতায় সম্পূর্ণ বাজার সুবিধা পেয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে গেলেও যাতে এ সুবিধা অব্যাত থাকে সে ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের নীতি নির্ধারকদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
মন্ত্রী সম্প্রতি কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট কাউন্সিলের উদ্যোগে লন্ডনের লনকাস্টার হাউজে অনুষ্ঠিত কমনওয়েল্থ ট্রেড মিনিষ্টার সম্মেলনের ‘টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন এবং ক্রিয়েটিং এন এক্সপোর্ট ইকোনমি’ বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
সম্মেলনে যোগদানকারী বাণিজ্যমন্ত্রীগণ বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ট্রেড মিনিস্টিার্স সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৭৮ ভাগ, এখন তা ১৫ দশমিক ৫ ভাগে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও শিল্পে ২৮ দশমিক ১ ভাগ এবং সার্ভিস সেক্টরে ৫৬ দমমিক ৩ ভাগ জিডিপিতে অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, যে দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ সেই দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষেরও খাদ্যের কোন অভাব নেই। দেশের চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশ এখন চাল বিদেশে রপ্তানি করছে।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানা যায়।
সম্মেলনের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের রপ্তানি ৩৪৮ ডলার থেকে বেড়ে এখন ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, আগামী বছর রপ্তানির পরিমান দাড়াবে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এবং তা ২০২১ সালে হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০২১ সফল করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭১-৭২ অর্থ বছরে জাতীয় বাজেট ছিল মাত্র ৫২৮ কোটি টাকা, এ বছর ৩,৪০,৬০৫ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গত বছর ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ছিল ১,৪৬৬ মার্কিন ডলার।
দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রম এখন বেশির ভাগ ডিজিটাল হয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সার্ভিস সেক্টরেও এখন অটমেশন চালু করা হয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে অফিসের কার্যক্রম চলছে। দেশের মানুষ এখন সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সেবা ভোগ করছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্র এবং মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। দেশ ইতোমধ্যে মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে, ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। দেশের মানুষ এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। দেশে ৫,২০০ টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৬দশমিক৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সে কয়েকটি সেক্টরকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে আইটি সেক্টরকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আইটি খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত যুব-শক্তি এখন আইটি সেক্টরে সফলভাবে কাজ করছে। এখাতের রপ্তানি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজিও সফলভাবে অর্জন করবে। কারণ বাংললাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
সম্মেলনে ৬টি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বিষয়গুলো হচ্ছে-ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইজি অফ ডুয়িং বিজনেস, টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন, বিজনেস এন্ড সাসটেইনেবিলিটি, ক্রিয়েটিং এন এক্সপোর্ট ইকোনমি এবং এ্যাট্রাক্টিং ইনভেস্টমেন্ট।
সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত ৩৭টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী যোগদান করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: