
প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামী ৭ মে সোমবার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদাৎ বার্ষিকীর কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে- ওইদিন সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পু®পার্ঘ্য অর্পণ, পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, স্মরণিকা প্রকাশ, আলোচনা ও স্মরণ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সকাল শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবে এই উপলক্ষে “ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ গঠনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন- জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আখতারউজ্জামানসহ শিক্ষক, আইনজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার নেতৃবৃন্দ ।
আগামী ৭ মে সকালে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পাশে ও বিকেলে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দ’ুদফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করে।
আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেন এবং সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারে শাহাদাৎ বার্ষিকীর সকল অনুষ্ঠান সফল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: