ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

খানা-খন্দক এখন মাছ চাষের উপযোগী \ ঝুঁকিতে চলছে যানবাহন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৭ মে ২০১৮ ০০:৪৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০১৮ ০০:৪৬

 

আব্দুর রাহিম, শেরপুর(বগুড়া)থেকে


ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে হাজারো যাহবাহন। ঈদ আসন্ন। বাড়ী ফেরা মানুষেরা দিন গুনছে তাদের কর্মস্থলে। এদিকে ঈদের আগেই ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলা এলাকায় খানা খন্দকে পরিণত হওয়ায় নানা ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে নানাবিধ যানবাহন। ওই এলাকার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক নেতার পুকুরের পাড় না থাকায় ও বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সড়কের খানা খন্দকের স্থানটি অনেকটাই মাছ চাষের উপযোগী হয়েছে অভিমত ব্যক্ত করেছেন যানবাহন চালক ও সচেতন যাত্রীরা।
জানা যায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে বেশ কয়েক জায়গায় খানা খন্দক থাকলেও শেরুয়া বটতলা এলাকায় মৎস্য অফিসের সামনে খানা খন্দকটি চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে শনিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার শেরুয়া বটতলা এলাকায় গিয়ে মহাসড়কের এ বেহাল দশার চিত্রটি চোখে পড়ে। খানাখন্দকের কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার সড়ক সংলগ্ন বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা পর্যায়ের এক প্রভাবশালী নেতা আব্দুস সাত্তারের একটি পূর্ব পার্শ্বে পাড়বিহীন পুকুর রয়েছে, পুকুরের তুলনায় মহাসড়কের ওই স্থান নিচু থাকায় সামান্য বৃষ্টির ও পুকুরের পানি একত্রিত হয়ে ফুলেফেঁপে সড়কের ওই স্থানটিতে জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে জলাবদ্ধ ওই স্থানটি অনেকটাই মাছ চাষের উপযোগীতে পরিণত হয়েছে মর্মে স্থানীয় সচেতনমহল ও যান বাহনের চালক এবং যাত্রী সাধারণও অভিমত ব্যক্ত করেন। ফলে জলবদ্ধতা ও খানা খন্দকের মধ্যদিয়ে প্রতিনিয়ত হাজারো যানবাহন চরম ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। ঈদ আসন্ন হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের পরিমাণ বাড়লে যেকোন সময় ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয় জনসাধারণ। তবে খানা-খন্দকের স্থানটি পুলিশ পাহারায় পার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। এদিকে খানা-খন্দকের স্থানটির মেরামতের জন্য এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়নি সওজ কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে বগুড়া সড়ক ও জনপদ(সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, খানা-খন্দকের স্থানটি মুলত স্থানীয় মেয়র আব্দুস সাত্তার সাহেবের পুকুরের পাড় না থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে ওই স্থান আপাতত উঁচু করে ২/৩দিনের মধ্যেই অবাধে যান চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে।

আব্দুর রাহিম
শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি
০১৭৫৪-৯১৬৩৪৯



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: