
আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
সারা বিশ্বে চলছে বিশ^কাপ ফুটবল উন্মাদনা। থেমে নেই বাংলাদেশেও। এ উপলক্ষে বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরে ডি.জে মডেল হাইস্কুল মাঠে বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শক মাঠে আসে। তখন মনে হয় এই মাঠটি ছোট-খাটো স্টেডিয়ামে রূপ নিয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ডি.জে মডেল হাইস্কুল খেলার মাঠে সাবেক কাউন্সিলর চন্দন কুমার দাস রিংকু ও মেসার্স মান্নান ট্রেডাসর্, সাপ্তাহিক বিজয় বাংলা সংলগ্ন, হামছায়াপুর খাদ্যগুদামের দক্ষিণ পার্শ্বে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করেন। আর এই আয়োজনে ডি.জে মডেল হাইস্কুল খেলার মাঠ ও হামছায়াপুর চাতালের উপর যেন জন সমুদ্রে পরিনত হয়। বিশ^কাপ ফুটবল মানেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের তর্ক বিতর্ক। যার যার দলের খেলোয়ারের প্রশংসায় প মুখ। অন্যান্য দলের সমর্থকও আছে কিন্তু পরিমানে খুব কম। তাই ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার খেলার দিন গুলো হাজার হাজার মানুষ একত্র হয়ে বড় পর্দায় যেভাবে খেলা দেখে আর হৈচৈ করে এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে আর তাতে মনে হয় যেন ছোট-খাটো স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখছে দর্শকরা। ডি.জে মডেল হাইস্কুল মাঠ ও হামছায়াপুর চাতাল ছাড়াও গোসাইপাড়া মোড়, থানার সামনে, মুনইরাফী গার্ডেন সিটির সামনে রাজধানী ক্লাবসহ শেরপুরের অলিতে গলিতে বড় পর্দায় খেলা দেখছে ফুটবল প্রেমীরা। গত শুক্রবার রাতে খেলা ছিল ফ্রান বনাম উরুগুয়ে এবং ব্রাজিল বনাম বেলজিয়াম। বিকেল থেকেই বিভিন্ন পাড়া থেকে স্কুল কলেজের ছাত্ররা দল বেধে ডি.জে. হাইস্কুল মাঠে জড়ো হতে শুরু করে, খেলা শুরুর আগমুহুর্তে ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেয় আশপাশের বিভিন্ন বয়সের মানুষ। বাদ যায়নি মহিলারাও। ডি.জে মডেল হাইস্কুল মাঠে খেলা দেখতে আসা কয়েকজন বলেন বন্ধু বান্ধব নিয়ে এক সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছি। এখানে এসে অনেক মজা পাচ্ছি। মনে হচ্ছে যেন স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখছি। মুনতাসির, আশিক, তারভির, সেলিম, হানজেলা, রুম্মান বলেন, বন্ধুদের সাথে এত মজা করে আগে কখনও খেলা দেখিনি এই গরমে হাজার হাজার মানুষের মাঝে দাড়িয়ে খেলা দেখছি কিন্তু কোনো অসুবিধা হচ্ছে না, যদিও স্টেডিয়ামে বসে কখনও খেলা দেখার সুযোগ হয়নি কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে যেন স্টেডিয়ামে লাইভ খেলা দেখছি। সেই সাথে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই এতা সুন্দর ফুটবল খেলা দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। ফুটবল প্রেমীরা যেভাবে বাদাম খাচ্ছিল আর হৈচৈ করছিল তাতে মনে হচ্ছিল যেন ঈদ আনন্দের চেয়েও বেশি আনন্দ উপভোগ করেছে খেলায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: