ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে

Admin 1 | প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৭ ২২:১৯

Admin 1
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৭ ২২:১৯

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০টি উদ্যোগ সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে। এসডিজি প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০টি উদ্যোগ বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সোমবার এক কর্মশালায় এ কথা বলেন। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এই কর্মশালার আয়োজন করে।
বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মঞ্জুরুর রহমান। সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাসস’র প্রধান বার্তা সম্পাদক আনিসুর রহমান।
বাসস’র বিশেষ সংবাদদাতা মাহফুজা জেসমিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সংস্থার প্রধান প্রতিবেদক আশেকুন নবী চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ও এসডিজির প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাতিসংঘে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক ১৭টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এসডিজির ওই ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পরবর্তী ১৫ বছর ধরে ১৬৯টি উপ-খাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পারিচালিত হবে।
তিনি বলেন, এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সফলতার আলোকে দেয়া এসডিজি প্রস্তাব আন্তর্জাতিক অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং অনেক দেশ এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের কাছে পরামর্শ চাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ১০টি বিশেষ উদ্যোগ এসডিজি’র ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। আগামী জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নের কর্মকৌশল উপস্থাপন করবে।
দারিদ্রর‌্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা দারিদ্বর‌্মোযচনে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। নারীর ক্ষমতায়ন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশংসিত হয়েছে।র‌্নিয বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা ও সংস্থা যুক্ত হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ও সমস্যার সমাধান দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা ও সংস্থার মধ্যে কর্মসূচি বাস্তবায়নের চুক্তি সম্পাদন হওয়ায় অনেক কর্মকান্ড দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তি পর্যায়ের মূল্যায়নও কর্মসূচি বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। অনেক মন্ত্রণালয় রয়েছে যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বৈঠক করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে তা অবহিত করেছে।
একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, আশ্রয়ন, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা প্রধানমন্ত্রীর এই ১০টি বিশেষ উদ্যোগের বিভিন্ন দিক এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালে সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবে।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তুলছে। দেশের প্রতিটি গ্রামে এই প্রকল্প চালু করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও একাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি মঞ্জুরুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের শীর্ষ বিন্দুতে পৌঁছে দিতে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন এরমধ্যে বিশেষ ১০টি উদ্যোগ অন্যতম।
সভাপতির বক্তব্যে বাসস’র প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে বিষদ চিত্র তুলে ধরতে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সংবাদ, প্রতিবেদন ও ফিচার প্রচার ও প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০টি উদ্যোগসহ এসডিজি বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও বাসস যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪০জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: