ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত জাতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক : রাষ্ট্রপতি

Admin 1 | প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৭ ২১:১২

Admin 1
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৭ ২১:১২

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।
তিনি বলেন, ‘গণহত্যা দিবস’ বাংলাদেশের মুুক্তিসংগ্রামে ত্রিশ লাখ বাঙালির আত্মত্যাগের মহান স্বীকৃতির পাশাপাশি তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধেও চরম প্রতিবাদের প্রতীক।
২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিচালিত গণহত্যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি বর্বরতম ও মর্মান্তিক ঘটনা।
আবদুল হামিদ বলেন, নানা ষড়যন্ত্র করেও বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে প্রতিহত করতে না পেরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করতেই ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদারেরা এ দেশের গণমানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তাদের জঘন্য এ হত্যাযজ্ঞে হাত মিলিয়েছিল তাদের দোসর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তা বিশ্বের সকল গণমাধ্যমেই গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছিল। হত্যা-নিপীড়নের ভয়াবহতায় এক কোটি বাঙালি আশ্রয় নিয়েছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের অনেক সেনা মুক্তিযুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিল। আমরা তাদের পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি।’
একাত্তরের বীভৎস গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায় এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ভয়াবহতা কেউ কোনোদিন ভুলতে পারে না। এমন গণহত্যা আর কোথাও যাতে না ঘটে, ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের মাধ্যমে সে দাবিই বিশ্বব্যাপী প্রতিফলিত হবে।
আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেন, হত্যা-নিপীড়ন চালিয়ে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশকে কেউ থামিয়ে রাখতে পারেনি। সকল বাধা পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে উন্নতি আর সমৃদ্ধির পথে। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন সমৃদ্ধির আধুনিক, সবুজ, টেকসই, শান্তিময় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, এই প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই আমরা একাত্তরের গণহত্যায় জীবনদানকারী প্রতিটি প্রাণের প্রতি জানাতে পারি আমাদের চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: