ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

কোটা পদ্ধতি না রাখার সুপারিশ সরকারি চাকরিতে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:১১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:১১

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার সুপারিশ করেছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা, সংস্কার অথবা বাতিলের জন্য সরকার গঠিত এই কমিটির সুপারিশমালা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি মেধাবীদের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুলাই সরকার এই কমিটি গঠন করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম আজ মন্ত্রী সভার বৈঠকের বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিয়য়ে বলেন, ‘আমরা কোটা নিয়ে প্রতিবেদন আজকে জমা দিয়েছি। আমাদের ফাইন্ডিংস হলো নবম থেকে ১৩ গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ আগে যেসব পদকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি বলা হতো, সেগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না।’
‘কাজেই গ্রেড ১ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সচিব থেকে সহকারি সচিব পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে, ’বলেন সচিব।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমতি গ্রহণ করা হবে, অনুমোদনের পরে এটা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। কেবিনেটে পাস হলে প্রজ্ঞাপণ জারি করা হবে।
শফিউল আলম বলেন, ‘কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোন কোটা থাকছে না।’
মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে আদালতের রায় সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা এই ব্যাপারে আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। তারা বলেছেন যে, এটা যেহেতু সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত কাজেই এই ক্ষেত্রে আদালতের রায় কার্যকর হবে না।’
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের কোটা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, ‘আমরা ওটা যাচাই-বাছাই করে দেখে বলেছি যে, তাদের জন্য কোটা অপরিহার্য নয়।’
তিনি বলেন, সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার চাইলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখতে পারে, কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক নয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: