ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

মরোণোত্তর নায়কের ভূমিকায় ইন্দোনেশিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় এক এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৪

 

ইন্দোনেশিয়ার একজন এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় মরোণোত্তর নায়কের ভূমিকা রেখে গেলেন । ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের সময় কর্মস্থল ত্যাগ না করে তিনি ভূমিকম্পের সময়ে ঘটনাস্থলের একটি যাত্রিবাহী জেট বিমানের নিরাপদ টেকঅফ তত্ত্বাবধান করেন। খবর এএফপি’র।
২১বছর বয়সী এই কর্মকর্তা অন্থনিয়াস গুনায়ান অগুং সুলাভেসি দ্বীপে শুক্রবার পালু’র মুটিয়ারা এসআইএস আল-জুফরি বিমান বন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে একাধিকবার ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় দায়িত্বরত ছিলেন। কর্মকর্তারা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত বাটিক এয়ারের একটি প্লেন নিরাপদে অবতরণ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তাঁর কর্মস্থল পরিত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। তবে তার সহকর্মীবৃন্দ ওই সময়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
ইয়োহান্স হ্যারি সিরাইট নামে এয়ারনাভ, ইন্দোনেশিয়ার এক মুখপাত্র জানান, ‘ভূমিকম্পের সময় তিনি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) কেবিন টাওয়ার ত্যাগের আগে বাটিক এয়ারকে আকাশ পথে নিরাপদে উড্ডয়নের ক্লিয়ারেন্স প্রদান করেন।’
৬২৩১ নং ফ্লাইটটির নিরাপদ উড্ডয়নের পর ৭.৫ ম্যাগনিচিড মাত্রায় ভূমিকম্প ও সুনামি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। কমপক্ষে ৮৩২ জন লোকের নিশ্চিত প্রাণহানি ঘটে।
ভূমিকম্পমান অবস্থার এক পর্যায়ে অগুং চার-তলা টাওয়ারের ওপর থেকে বাঁচার জন্যে লাফিয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর পা ভেঙ্গে যায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে তাঁকে কাছের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়ার জন্যে হেলিকপ্টার এসে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
এয়ারনাভের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোম্পানী অগুং-এর এই অসাধারণ আত্মত্যাগের জন্যে পদমর্যাদা দুই স্তর উপরে উন্নীত করবে।
স্থানীয় মেট্রো টিভি, অগুং- এর এই মহান কর্মকা- তুলে ধরে।
প্রশান্তমহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলের টেকটোনিক প্লেটে ইন্দোনেশিয়ার এই এলাকাটি অবস্থিত হওায় এখানে বহুসংখ্যক আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ও ভূমিকম্প সংগঠিত হয়ে থাকে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: