ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
পৌর নাগরিক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পর্যটকদেরকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌর এলাকায় প্রতিদিন শত শত বালু বোঝাই ট্রাক রাস্তায় দাড়িয়ে থাকায়

gazi anwar | প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৫৮

gazi anwar
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৫৮

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌর এলাকায় প্রতিদিন শত শত বালু বোঝাই ট্রাক রাস্তায় দাড়িয়ে থাকায় পৌর নাগরিক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পর্যটকদেরকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গারো, হাজং এবং বাঙ্গালী অধ্যুষিত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দুর্গাপুর উপজেলা। ছোট বড় অসংখ্য গারো পাহাড় আর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি।  

এখানে রয়েছে দেশের একমাত্র চিনামাটির খনি। এছাড়াও প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে রয়েছে সিলিকনবালি, নূরী পাথর ও কয়লা।এখানকার সোমেশ্বরী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে যেমন বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, অপর দিকে নূরী পাথর ও কয়লা উত্তোলন করে হাজার হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহকরে আসছে। প্রতিদিন এক থেকে দুই হাজার ট্রাক ও লড়ি নদী থেকে বালু সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগ্রহ করে আসছে।

বালু ভর্তি শত শত ট্রাক ও লড়ি দূর্গাপুর পৌরএলাকার নাজিরপুর মোড়, তেরীবাজার, ধানমহাল, সুসং সরকারী কলেজ ও আলিয়া মাদ্রাসা মোড়,কাচারী মোড়, পুলিশের মোড়,উৎরাইল বাজার, বিরিশিরি,উপজেলা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে পৌরবাসী ও পর্যটকরা অনেকটাই ট্রাকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে স্কুল কলেজের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা সময় মত স্কুলে যেতে পারছেনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাক বন্ধ করার দাবিতে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করেছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকরা এসে পরতে হয় বিড়ম্মনায়।

দুর্গাপুর ৫টি বালুমহাল থেকে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে। যা দুর্গাপুর উন্নয়নে কাজ হয় এর বিরোধী কেউ নয়, কিন্তু জনসাধারন ও শিক্ষার্থীর দুভোগের কথা ও মাথায় রাখতে হবে। সরকারি নিয়ম নীতি মেনেই সাধারন মানুষকে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে পারে প্রশাসন। সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে হাইওয়ে, শহর, হাট বাজারের ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ আছে। সেটা পালন করলেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী, সাধারন জনগন ও পর্যটকরা স্বস্তিতে চলাচল করতে পারে। উৎরাইল বাজার থেকে দুর্গাপুর (নাজিরপুর মোড়) এক কিলোমিটারের ও কম রাস্তা কিন্তু অনেক সময় যেতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।

এব্যাপারে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ আব্দুছ সালামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আজ  (২৫ ফেরুয়ারী সোমবার ) আমরা ইউ এন সাহেবের সাথে মিটিং করেছি এবং একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিন্তু কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনি তা বলেননি অন্য একটি মিটিং আছে পরে ফোন দিচ্ছি বলে রেখে দেয়।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ আমরা মেয়র ও ওসিসহ একটি মিটিং করেছি খুব সিগরই ডিসি স্যাররের সাথে মিটিং করে এব্যাপারে সিন্ধান্ত নেব। তিনি বলেন, আগে এমন অবস্থা ছিল না ঝাঞ্জাইল থেকে দুর্গাপুরের রাস্তা সংস্কারের জন্য এবং ঠিকাদারী প্রতিস্টান ধীরগতিতে কাজ করছে। কাজ দ্রুত হচ্ছে না সে কারনেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় সাংসদ ( নেত্রকোনা-১) জনাব মানু মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, এটা খুবেই একটি অসুস্থিকর ব্যাপার আমাকেও বিরিশিরি থেকে দুর্গাপুর আসতে দীর্ঘ সময় ট্রাকের পেছনে বসে থাকতে হয়। আমাকে এলাকার জনগন ও অনেক পর্যটক যানজটের কথা বলেছে। আমি এই ব্যাপারের জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি এবং একটি ডি লেটারও দিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত দুর্গাপুরবাসী এই যানজট থেকে রক্ষা পাবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: