ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাপাহারের বোরো ধান মরে যাওয়ার উপক্রম

Akbar | প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:১০

Akbar
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:১০

নওগাঁ: সেচের অভাবে শুকিয়ে বিবর্ণ আকার ধারন করেছে নওগাঁর সাপাহারে জবাই বিলে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান। চলতি মৌসুমে সেচে পানির অভাব দেখা দিলে এসব ধান এ সংকটে পড়েছে। বিলের দুপাশের বিস্তির্ণ জমির রোপা, বোরো ধান মরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে সেচ সংকট মোকাবেলার জন্য সরকারিভাবে বিকল্প পানির উৎস্য স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।

সোনাডাঙ্গা গ্রামের বোরো চাষি আবু সাঈদ বলেন, জবাই বিলে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা না থাকা ও বিলে স্যালো টিওবওয়েলকে বিদ্যুতায়িত করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের অনিহার কারণেই এমনটি হয়েছে। বর্তমানে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। প্রায় ২০-২৫ দিন পূর্বে বিলের পানি শুকিয়ে গেছে। বিনা সেচেই ধান শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। যে বিলে বোরো চাষিদের সহজ শর্তে বিদ্যুৎ চালিত শ্যালো টিউবওয়েল স্থাপনের অনুমতি দেয়ার কথা। সেখানে তারা দেননি। তাদের অনিহার কারণে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বোরো ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে।

সরেজমিনে জবাই বিলে দেখা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বোরো ধানক্ষেতে এখন ভরপুর পানি থাকার কথা। কিন্তু জবাই বিলের ডুমরইল, মাহিল ও কালিন্দা বিলে পর্যাপ্ত পানিতো দূরের কথা, মাঠের পর মাঠ ধানের জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বিলের সংযোগ সেচ ক্যানেল দোহারা তারাচাঁন খাড়িতেও পানি নেই। বিলে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান গাছগুলো পানির অভাবে লালচে রং ধারন করেছে। এ দৃশ্য দেখে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে বিলের কৃষকরা।

দোহারা তারাচাঁন পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, বিলের গভীর থেকে পানি আনতে হলে সরকারি উদ্যোগে বিলের প্রবাহিত খাড়ি গুলো আরো গভীরভাবে খনন প্রয়োজন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার হ্ক্টের জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। জবাই বিল এলাকায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনুমান ৫৭৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পুর্ন সেচ সংকটে পড়েছে। এরইমধ্যে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে বিল পাড়ের দুই পাশের প্রায় ১০০টি গভীর নলকূপ থেকে স্কিম অন্তর্ভূক্ত জমি বাদেও বিল এলাকার ফেটে যাওয়া জমিগুলোতে দিনরাত সেচ দেয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ এ সমস্যা সমাধানের লক্ষে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ডিজেল চালিত শ্যালো টিউবওয়েল স্থাপনে কোন বাধা নেই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তা স্থাপন করে সেচ সংকট মোকাবেলা করতে পারে। বিদ্যুৎ চালিত শ্যালো স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান ও অচিরেই আকাশের বৃষ্টি হবে বলে কৃষকগণকে অপেক্ষা করতে বলেন।

ইউএনও কল্যাণ চৌধুরী বলেন, জবাই বিলের অতি ঝঁকিপূর্ণ সেচ সংকট এলাকায় ফসল রক্ষায় সাধ্যানুযায়ী বিকল্প সেচ ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বিল এলাকার প্রায় ১০০টি গভীর নলকূপ থেকে দিনরাত নিরলসভাবে বোরো জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: