
ঢাকা,২৬ এপ্রিল(অধিকারপত্র): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই। নেই কোনো দেশ। তাই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে জনমত সৃষ্টি ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রুনাই সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে শুরুতেই শ্রীলংকায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রুনাইয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে ঐক্যমতে পৌঁছানো গেছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশকে ব্রুনাই সুলতান ধন্যবাদ জানান। রোহিঙ্গাদের জন্য যে কোনো সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন মিয়ানমারেই করতে চীনসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক সেবার নামে এনজিওরা নিজেদের সেবা করতে আসে। রোহিঙ্গারা ভাসানচর বা মিয়ানমারে ফিরতে চাইলেও অনেক সংস্থা চায় না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জনমত গড়ে তুলতে হবে। সচ্ছল পরিবারের সন্তানরা ভুলপথে জড়াচ্ছে। আমার প্রশ্ন- তারা এই আত্মঘাতী হামলা করে কী পাচ্ছে?
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডে কী হলো? একজন মাথায় ক্যামেরা লাগিয়ে গুলি করার মুহূর্ত সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কী বীভৎস! কী বীভৎস মানসিকতা! সে একজন খ্রিস্টান। আর শ্রীলংকায় যারা শনাক্ত হয়েছে, তারা মুসলমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের কোনো ধর্ম নেই। কি খ্রিস্টান, কি মুসলিম ধর্মকে উগ্রবাদি চিন্তায় কাজে লাগানোর চেষ্টাই জঙ্গিবাদের কাজ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির বিজয়ীদের শপথের বিষয়ে সরকারের কোনো চাপ নেই। ওই এলাকার জনগণের চাপে তারা শপথ নিচ্ছেন।।
কারাবন্দি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া নিয়ে মন্তব্যের কিছু নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্যারোলের জন্য সাধারণত আবেদন করতে হয়। এখন পর্যন্ত কেউ আবেদন করেনি। যেহেতু এ বিষয়ে আবেদনই করা হয়নি, তাই মন্তব্যের সুযোগ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতেৃত্বে কে আসবেন, তা ঠিক করবে দল।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যুগের চাহিদা বা প্রযুক্তির চাহিদা হলো অনলাইন সংবাদপত্রের। বিশ্বের অনেক দেশে বড় বড় পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো এখন কেবল অনলাইনে আছে। কাগুজে পত্রিকা বের করে না।
সম্প্রচার মাধ্যম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই টেলিভিশনের জন্য আবেদন করছেন। আমি বলেছি দিয়ে দাও। এতে চাকরির বাজার তো বড় হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: