
ঢাকা, ১৫ মে (অধিকারপত্র): রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে ফ্লাইওভারের ওপর গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে বাকি ৪৫ লাখ টাকা দিতে (অন্তত আংশিক) ২২ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। গ্রীনলাইন পরিবহনের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ. আর. এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে. এম. কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ সময় দিয়ে আজ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা ও আইনজীবী উম্মে কুলসুম ম্মৃতি। গ্রীনলাইনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অজি উল্লাহ।
গত ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বাকি ৪৫ লাখ টাকা দিতে গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষকে এক মাস সময় দিয়েছিলো হাইকোর্ট। বুধবার গ্রীনলাইনের পক্ষে আবার সময় আবেদন করা হয়। এ সময় আদালত গ্রীনলাইনের আইনজীবী অজি উল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'টাকা দিয়েছেন?' জবাবে অজি উল্লাহ বলেন, 'চিকিৎসার জন্য খরচ দিচ্ছি।' আদালত বলেন, 'বাকি টাকা (৪৫ লাখ) দিয়েছেন? কথা ছিল একমাসের মধ্যে বাকি টাকা দেবেন। টাকা তো দেননি। আর চিকিৎসার খরচ তো আলাদা ডাইরেকশন ছিল। সব চিকিৎসা খরচ দেবেন।'
আদেশের পরে শামসুল হক রেজা বলেন, 'তারা একটা হলফনামা দিয়ে বলেছে তাদের মালিক অসুস্থ। সে জন্য সময় দরকার। সে প্রেক্ষাপটে আমাদের বক্তব্য ছিল যেহেতু ওনাদের ব্যবসা বাণিজ্য চলছে। অতএব যে কোনো লোকের মাধ্যমে বা ম্যানেজারের মাধ্যমে চেক বা টাকা দিতে পারে। তাদের আইনজীবী সময় চেয়েছেন। এরপর আদালত ২২ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। ওই তারিখের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করবেন।'
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রীনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন সংরক্ষিত আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এ রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: