ঢাকা | মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সাফল্যের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ বিমান

টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতি শতভাগ রোধ করাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করায় এ সাফল্য : মহিবুল হক

odhikar patra | প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০১৯ ০৮:১৬

odhikar patra
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০১৯ ০৮:১৬

এবার হজযাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ বিমান সাফল্যের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতি শতভাগ রোধ করাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করায় এ সাফল্য ধরা দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

হাজীদের জন্য বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে ৬৩ কোটি টাকা ছাড় দেয়ার পরও হজ ফ্লাইট পরিচালনায় লাভের মুখ দেখছে বিমান। এমনকি চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মচারীদের জনপ্রতি বিশেষ ভাতাও দেয়া হয়েছে। কোনো ফ্লাইট বাতিল তো দূরের কথা, বরং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হাজী পরিবহন করেছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক শুক্রবার বলেন, টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতি শতভাগ রোধ করাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করায় এ সাফল্য ধরা দিয়েছে। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ক্লোজ মনিটরিং এবং মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতার ফলে এমন স্কোরে উপনীতি হতে পেরেছি। এক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়কেও আমি ধন্যবাদ জানাব। মূলত প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণে সবাই সজাগ ও সচেষ্ট ছিল এবং এখনও আছে।

তিনি মনে করেন, এটি অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতে বিমান বাংলাদেশ আরও গৌরবোজ্জ্বল রেকর্ড অর্জনে সক্ষম হবে।

সূত্র জানায়, এবার বিমানের হজযাত্রী পরিবহনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩ হাজার ৬০০ জন। কিন্তু বহন করেছে ৬৬ হাজার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এর আগে প্রতি বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের ফ্লাইট বাতিল ছিল একটি সাধারণ ঘটনার মতো। তবে এবার সে দুর্নাম ঘুচিয়ে ফ্লাইট বাতিল না হওয়ার নজির স্থাপন করেছে।

এছাড়া হাজীদের জন্য নির্ধারিত ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৪০ টাকার বিমান ভাড়ার পরিবর্তে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা কম রেখে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এ হিসাবে একেবারে খাতা-কলমে বিমানকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ৬৩ কোটি টাকা।

শুধু তাই নয়, বিমানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত চতুর্থ শ্রেণির ২ হাজার ৩৫০ জন কর্মচারীকে নির্ধারিত বেতন-ভাতার বাইরে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়া হয়েছে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা।

আশার কথা, এত কিছুর পরও বিমান এবার হজ ফ্লাইট পরিচালনায় লাভ করেছে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, শুধু শক্ত হাতে টিকিটিং দুর্নীতি প্রতিরোধসহ সংশ্লিষ্ট আরও বেশকিছু ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। বিজনেস ও ইকোনমিক ক্লাসের টিকিট নিয়ে কেউ কারসাজি করার সুযোগও পায়নি।

এবার বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু হয় ৪ জুলাই। সর্বশেষ ফ্লাইট গেছে ৫ আগস্ট। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১৭ আগস্ট থেকে, যা শেষ হওয়ার কথা ১৬ সেপ্টেম্বর। সব মিলিয়ে বিমান এবার ১৫৭টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: