ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

বড় অভিযানে যাওয়ার আগে

Admin 1 | প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ২১:০৭

Admin 1
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ২১:০৭

একই রকম তাড়া ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজারও। তবে মাঠ ছাড়ার আগে একটু সময় নিয়ে নিজের দল, প্রতিপক্ষ কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের জুনিয়র-সিনিয়র সব খেলোয়াড়ের কাছে দোয়া-আশীর্বাদ নিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।

গত অক্টোবরে ইংল্যান্ড সিরিজের পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন নাসির হোসেন। তবে থাকছেন শুধু আয়ারল্যান্ড সফরেই। ‘আমার ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য বা স্বপ্ন নেই। সব সময়ই দলের জন্য খেলেছি। এবারও একই চেষ্টা থাকবে’—এতটুকু বলেই নাসিরও ছুটলেন হন্তদন্ত হয়ে।

তাসকিন আহমেদের সঙ্গে বিকেএসপিতে নয়, কথা হয়েছিল পরশু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীর অনুশীলনে। প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের এই পেসার। অন্য রকম রোমাঞ্চ তাঁর মনে। তাঁর স্বপ্ন অভিযানটা রঙিন করে রাখার, ‘সফরটা স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করব। স্বপ্নপূরণের দুয়ারে মাত্রই পা রেখেছি। এখনো অনেক দূরে যেতে হবে। অনেক সিঁড়ি পেরোতে হবে। এখনো অনেক কিছু শিখছি। কত তাড়াতাড়ি শিখতে পারি, সেটাই হচ্ছে বিষয়। আশা করি, দ্রুতই পরিপূর্ণ বোলার হতে পারব।’

ইমরুল কায়েসের অবশ্য ইংলিশ কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিস্টলে বাংলাদেশ যে ঐতিহাসিক জয়টা পেয়েছিল, সেটিতে বড় অবদান আছে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনারের, করেছিলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান। তবে সাত বছরের আগের সঙ্গে বর্তমানটা মেলাতে চান না তিনি, ‘সাত বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। অন্য দল যেমন বদলেছে, আমরাও বদলেছি। আর আমি ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভালোই খেলি। ওদের কন্ডিশনে ভালো খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। সুযোগ পেলে আশা করি অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে।’ যে বদলের কথা ইমরুল বলছেন, এই সাত বছরে তাঁর নিজেরও কি পরিবর্তন হয়নি? ইমরুল হাসলেন, ‘হ্যাঁ, তা তো হয়েছেই। আগে বেশি স্ট্রোক খেলতাম না। এখন স্ট্রোক খেলতে ভীষণ পছন্দ করি। আগে দেখতে হবে দল আমার কাছে কী চায়। দল যেটা চায়, আমি সেটা পূরণ করার চেষ্টা করব।’

ইমরুলের মতো রুবেল হোসেনেরও আনন্দদায়ী স্মৃতি আছে ইংলিশ কন্ডিশনে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড সফরে তিনিও ছিলেন। ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ইংলিশ কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে উন্মুখ রুবেল, ‘ইংল্যান্ডের কন্ডিশন সব সময়ই পেস বোলারদের জন্য সহায়ক। আগে সেখানে বাংলাদেশ ‘এ’ ও জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি, খারাপ করিনি। এটা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করবে। ম্যাচে ভালো করতে সহায়তা করবে।’

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাপ্তি ছিল সৌম্য সরকারের মতো ব্যাটসম্যানকে পাওয়া। এবার আইসিসির আরেকটি টুর্নামেন্টে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে চান সৌম্য? বাঁহাতি ওপেনারের চোখে দুর্দান্ত কিছু করার স্বপ্ন, ‘আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কন্ডিশন এ রকমই হবে। যদি আয়ারল্যান্ডে ভালো কিছু করতে পারি, তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে পারব। আর আমার কাজ রান করা। চেষ্টা করব নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণ করতে।’

সেই ব্যক্তিগত লক্ষ্যটা কী—সৌম্য সেটি না বলে শুধু হাসেন। সফর শেষেও অটুট থাকবে হাসিটা?



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: