মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বিষয়ে মধ্যস্থতায় চীনের সহযোগিতার প্রস্তাব মিয়ানমার সরকার গ্রহণ করবে না। তবে এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র ইউ জ এইচতে এ কথা জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার দেশটির অনলাইন পত্রিকা দ্য ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের শেষের দিকে আরাকান রাজ্যে সহিংসতায় হাজার হাজার সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রশমনে চীন সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে।
আজ শুক্রবার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউ জ এইচতে বলেন, এনএলডি প্রশাসন ‘চীনের উদ্বেগের বিষয়ে অবহিত’। আরাকান রাজ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কিয়াউফিউয়ের উন্নয়নে চীনের প্রজেক্টের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। তবে তিনি বলেন, সরকার ওই অঞ্চলে সহিংসতা মোকাবিলায় সহযোগিতা অর্জনে আরও মানসম্পন্ন পথ বেছে নিতে চায়।
সম্প্রতি চার দিনের সফরে ঢাকা আসেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত সান গোশিয়াং। তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, তারা (চীন) প্রয়োজন হলে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানের পর বাংলাদেশের অবস্থান জানতে ও বুঝতে সান গোশিয়াং ঢাকা সফর করেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালালেও বিষয়টি নিয়ে সব সময় নীরব থেকেছে চীন। রাখাইনে গত বছরের অক্টোবরের সহিংসতার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিতে চেয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতায় বিবৃতিটি দেওয়া যায়নি। এ ছাড়া রোহিঙ্গা নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক তদন্তের ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রস্তাব আনা হয়। গত মাসে জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে প্রস্তাবটি পাস হলেও ওই প্রক্রিয়াতে অংশ নেয়নি চীন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: