
প্রস্তাবিত নতুন আর্থিক ও পরিচালন কাঠামো নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আপত্তি ধোপে টেকেনি আইসিসির বোর্ড সভায়। পাস হওয়া নতুন আর্থিক সংস্কার প্রস্তাব অনুযায়ী ভারত আইসিসির কাছ থেকে পাবে ২৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের দাবি ছিল ৫৭০ মিলিয়ন ডলার। যে দাবি পূরণে আইসিসি সভায় অন্য বোর্ডের মতো বাংলাদেশকেও পাশে পায়নি বিসিসিআই।
বিসিবি মনে করছে, তারা ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আজ বিকেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রথম সভাতেই আপত্তি তুলেছিলাম আর্থিক বিষয়ে, টাকা যেভাবে ভাগ করা হয় এটার ভিত্তিটা কী? তখন হিসাব না করেই চ্যালেঞ্জ করেছিলাম অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক কম টাকা পাচ্ছে। বাংলাদেশ এত কম পেতে পারে না। পরে নানা আলোচনার পর দেখা গেল, আসলেই বাংলাদেশের এত কম পাওয়ার কথা নয়। পরে সবাই একমত, আরও বেশি টাকা প্রাপ্য বাংলাদেশের।’
আর্থিক সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতায় কাউকেই পাশে পায়নি বিসিসিআই, হেরেছে ৯-১ ভোটে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকেও পাশে পায়নি তারা। যদিও ভোটাভুটির আগে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বিসিবির আলোচনা হয়েছিল। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট-সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না তো? নাজমুল তা মনে করেন না, ‘ভারতের উদ্বেগ শুধু আর্থিক বিষয়ে। তাদের অনেক বিষয়েই আমরা সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ টাকা বেশি পাবে—এটা তো বিরোধিতা করতে পারব না। আইসিসিতে আমি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করি। এ সুযোগ কখনোই ছাড়ব না। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বিসিসিআইও এই মডেলের বিরুদ্ধে নয়।’
তাহলে ভারতীয় বোর্ডের আপত্তিটা কোথায়? বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘ওদের আপত্তি টাকা ভাগাভাগির প্রক্রিয়া নিয়ে। ওরা চাচ্ছে, ওদেরটাও ঠিক থাক, অন্যরাও বেশি পাক। এখনো জুন পর্যন্ত সময় আছে। আর্থিক বিষয়টা গঠনতন্ত্রের অংশ নয় বলে যদিও এটা হয়তো জুন পর্যন্ত যাবে না। তবুও এর মধ্যে ওরা যদি গ্রহণ করার মতো কোনো প্রস্তাব দিতে পারে, সেটা মানব। তবে আমাদের কারও এক পয়সা কমতে পারবে না। আমার বিশ্বাস, ভারত নতুন ফর্মুলা আনবে, যেটা সবাই মিলে সমাধান করতে পারব।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: