
ঔদ্ধত্য বলুন বা নির্বিকার থাকা, লিওনেল মেসি এমনই। ম্যাচ শেষে তাঁর কাছে প্রতিপক্ষের অনেকেই এসে জার্সি চেয়ে নেয়। কিন্তু বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড নিজে কখনো কারও কাছ থেকে জার্সি চেয়ে নিচ্ছেন, এমনটা দেখা যায়নি।
তবে অন্য সব নিয়মের মতো এই ‘নিয়মে’রও একটা ব্যতিক্রম ছিল। ক্যারিয়ারে একবারই নিজে গিয়ে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের কাছে জার্সিটা চেয়ে নিয়েছেন মেসি। কে তিনি? বার্সেলোনারই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি ও বর্তমান কোচ জিনেদিন জিদান!
জার্সি বদল ব্যাপারটা ফুটবলে অনেক সম্মানের। ম্যাচে কোনো ফুটবলার দুর্দান্ত খেলছেন, ম্যাচ শেষে দেখা গেল প্রতিপক্ষই তাঁর কাছে জার্সিটা চেয়ে বসল। জার্সি তো নয়, আসলে একটা স্মৃতিচিহ্ন রাখা। ক্যারিয়ার শেষে এই জার্সিগুলো দেখে কিছুক্ষণের জন্য অতীতে ডুব দেওয়া যায়। বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ হলে সাধারণত মেসির জার্সিটাই চান প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়েরা।
আর মেসি চেয়েছিলেন জিদানের জার্সি। ব্যাপারটা কখন ঘটেছিল, সেটি জানাননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেটি ২০০৫ সালের কোনো এক এল ক্লাসিকোতেই। স্প্যানিশ প্রকাশনা ইনভিকটসকে মেসি বলেছেন, ‘আমি সাধারণত প্রতিপক্ষকে জার্সি বদলানোর অনুরোধ করি না। একবারই করেছিলাম...জার্সি চেয়েছিলাম জিদানের কাছে।’
চাইলেন তো চাইলেন ‘চিরশত্রু’র কাছে! অবশ্য শত্রুতে শত্রুতে এখানে মিলও আছে। প্রমাণ মেসির কথাতেই, রিয়ালের এক খেলোয়াড়ের কথা জানালেন, যিনি সব সময়ই তাঁর কাছে জার্সিটা চেয়ে নিতেন—গুতি! মেসি বললেন, ‘গুতি আমার কাছে জার্সি চেয়েছিল। এখানে (ন্যু ক্যাম্পে) যখন খেলেছিলাম তখন, ওখানে (সান্তিয়াগো বার্নাব্যু) যখন খেলেছিলাম তখনো। দুই ম্যাচেই।’
তা প্রতিপক্ষের জার্সির ব্যাপারে তাঁর আগ্রহটা কেমন? এখানে মেসির আর্জেন্টাইন-প্রীতিটা স্পষ্ট, ‘আমি সাধারণত জার্সি চাই না। যদি আর্জেন্টাইন কেউ থাকে, তাহলে তাঁর সঙ্গে জার্সি বদল করি। যদি তেমন কেউ না থাকে, তাহলে যে চায় তাঁকেই জার্সি দিই। যদি কেউ না চায়, তাহলে আর তাকাই না, জার্সি চাইও না।’ ডেইলি মিরর।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: